ঢাকা ১২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা

উত্তপ্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা, ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেওয়াসহ অশ্লীল স্লোগান দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সহকারী রেজিস্ট্রার কে এম সানোয়ার পারভেজ লিটন বন্দর থানায় এই জিডি করেন।

জানা গেছে, রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ চার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ২২ এপ্রিল থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দাবিতে রবিবার (২৭ এপ্রিল) রেজিস্ট্রারের কুশপুতুল দাহ করেন এবং তার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

জিডিতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- ইংরেজি বিভাগের রাকিন, এনামুল হক, তরিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, লোকপ্রশাসনের মোকাব্বেল শেখ, আইন বিভাগের তরিক হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সিহাব, কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের স্বপ্নীল অপূর্ব রকি এবং রসায়ন বিভাগের রফিকুল ইসলাম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবাদস্বরূপ শিক্ষার্থীরা সোমবার রাতে চার দফা দাবিতে মশাল মিছিলের আয়োজন করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এবং তিনি ২০১১ সালের জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারীদের একজন। তার অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। দাবিগুলো হলো- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপবাদ প্রত্যাহার ও পুনর্বহাল, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণ, ফ্যাসিবাদী শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের পুনর্বাসনের দায়ে উপাচার্যের প্রকাশ্য ক্ষমা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে দুই দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। রেজিস্ট্রার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলেও তারা জানান।

সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন ও রাকিন খান বলেন, ‘প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মানছে না বলেই তালা দিতে বাধ্য হয়েছি। ১২ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করতে হবে, নইলে আন্দোলন চলবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান উপাচার্যের হাতেই।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘উপাচার্য আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করতে পারেন।’

এ বিষয়ে উপাচার্য শুচিতা শরমিন বলেন, ‘তালা দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। গুটি কয়েক শিক্ষার্থী এ কাজ করেছে, তাদের সবার পরিচয় জানা, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

উত্তপ্ত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা, ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জিডি

আপডেট সময় ০৪:২৪:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে তালা দেওয়াসহ অশ্লীল স্লোগান দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সহকারী রেজিস্ট্রার কে এম সানোয়ার পারভেজ লিটন বন্দর থানায় এই জিডি করেন।

জানা গেছে, রেজিস্ট্রারের অপসারণসহ চার দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ২২ এপ্রিল থেকে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই দাবিতে রবিবার (২৭ এপ্রিল) রেজিস্ট্রারের কুশপুতুল দাহ করেন এবং তার দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

জিডিতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন- ইংরেজি বিভাগের রাকিন, এনামুল হক, তরিকুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান, সাংবাদিকতা বিভাগের নাজমুল ঢালী, লোকপ্রশাসনের মোকাব্বেল শেখ, আইন বিভাগের তরিক হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সিহাব, কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের স্বপ্নীল অপূর্ব রকি এবং রসায়ন বিভাগের রফিকুল ইসলাম। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবাদস্বরূপ শিক্ষার্থীরা সোমবার রাতে চার দফা দাবিতে মশাল মিছিলের আয়োজন করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম ভোলার মনপুরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি এবং তিনি ২০১১ সালের জুলাই আন্দোলনের বিরোধিতাকারীদের একজন। তার অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। দাবিগুলো হলো- ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনের বিরুদ্ধে অপবাদ প্রত্যাহার ও পুনর্বহাল, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলামের অপসারণ, ফ্যাসিবাদী শিক্ষকদের লাভজনক কমিটি থেকে অপসারণ এবং এসব কর্মকাণ্ডে জড়িতদের পুনর্বাসনের দায়ে উপাচার্যের প্রকাশ্য ক্ষমা।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিনকে দুই দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হলেও তিনি তা উপেক্ষা করেছেন। রেজিস্ট্রার অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলেও তারা জানান।

সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশারফ হোসেন ও রাকিন খান বলেন, ‘প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মানছে না বলেই তালা দিতে বাধ্য হয়েছি। ১২ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রারকে অপসারণ করতে হবে, নইলে আন্দোলন চলবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধান উপাচার্যের হাতেই।’

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বলেন, ‘উপাচার্য আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত বিষয়টির সমাধান করতে পারেন।’

এ বিষয়ে উপাচার্য শুচিতা শরমিন বলেন, ‘তালা দেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। গুটি কয়েক শিক্ষার্থী এ কাজ করেছে, তাদের সবার পরিচয় জানা, ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’