১১:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলাদেশেই হবে: প্রেস সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 32

ছবি সংগৃহীত

 

গুমের ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে এমনই কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “নিখোঁজ তিন শতাধিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

গুম কমিশনের প্রতিবেদনের বরাতে প্রেস সচিব জানান, গুমের ঘটনায় র‍্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল। তিনি বলেন, “র‍্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছিল একটি ভয়াবহ কিলার ও হত্যাকারী বাহিনী। পদোন্নতি ও ভালো পোস্টিংয়ের আশায় র‍্যাব সদস্যরা গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল।”

তিনি আরও জানান, গুম ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গণভবনে একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে র‍্যাবের নির্যাতনের প্রমাণ, ভুক্তভোগীদের গল্প ও ঘটনার বিবরণ প্রদর্শন করা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, “এই মিউজিয়াম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের নামে কী ভয়াবহ কাজ ঘটেছে দেশের বুকে।”

তিনি আরও জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুম কমিশনের প্রতিবেদন ধাপে ধাপে প্রকাশ শুরু হবে, যা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

গুম সংক্রান্ত এই কমিশনের কাজ ছিল বিগত এক দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করা। কমিশনের মতে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এই তিনটি প্রধান কারণ গুমের ঘটনার পেছনে কাজ করেছে।

মানবাধিকার রক্ষায় সরকার এবার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। প্রেস সচিবের বক্তব্যে পরিষ্কার দোষী কেউ রেহাই পাবে না, দেশের আইন অনুযায়ী সবার বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলাদেশেই হবে: প্রেস সচিব

আপডেট সময় ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

গুমের ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে এমনই কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “নিখোঁজ তিন শতাধিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

গুম কমিশনের প্রতিবেদনের বরাতে প্রেস সচিব জানান, গুমের ঘটনায় র‍্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল। তিনি বলেন, “র‍্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছিল একটি ভয়াবহ কিলার ও হত্যাকারী বাহিনী। পদোন্নতি ও ভালো পোস্টিংয়ের আশায় র‍্যাব সদস্যরা গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল।”

তিনি আরও জানান, গুম ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গণভবনে একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে র‍্যাবের নির্যাতনের প্রমাণ, ভুক্তভোগীদের গল্প ও ঘটনার বিবরণ প্রদর্শন করা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, “এই মিউজিয়াম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের নামে কী ভয়াবহ কাজ ঘটেছে দেশের বুকে।”

তিনি আরও জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুম কমিশনের প্রতিবেদন ধাপে ধাপে প্রকাশ শুরু হবে, যা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

গুম সংক্রান্ত এই কমিশনের কাজ ছিল বিগত এক দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করা। কমিশনের মতে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এই তিনটি প্রধান কারণ গুমের ঘটনার পেছনে কাজ করেছে।

মানবাধিকার রক্ষায় সরকার এবার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। প্রেস সচিবের বক্তব্যে পরিষ্কার দোষী কেউ রেহাই পাবে না, দেশের আইন অনুযায়ী সবার বিচার নিশ্চিত করা হবে।