ঢাকা ০৬:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলাদেশেই হবে: প্রেস সচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫
  • / 11

ছবি সংগৃহীত

 

গুমের ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে এমনই কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “নিখোঁজ তিন শতাধিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

গুম কমিশনের প্রতিবেদনের বরাতে প্রেস সচিব জানান, গুমের ঘটনায় র‍্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল। তিনি বলেন, “র‍্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছিল একটি ভয়াবহ কিলার ও হত্যাকারী বাহিনী। পদোন্নতি ও ভালো পোস্টিংয়ের আশায় র‍্যাব সদস্যরা গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল।”

তিনি আরও জানান, গুম ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গণভবনে একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে র‍্যাবের নির্যাতনের প্রমাণ, ভুক্তভোগীদের গল্প ও ঘটনার বিবরণ প্রদর্শন করা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, “এই মিউজিয়াম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের নামে কী ভয়াবহ কাজ ঘটেছে দেশের বুকে।”

তিনি আরও জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুম কমিশনের প্রতিবেদন ধাপে ধাপে প্রকাশ শুরু হবে, যা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

গুম সংক্রান্ত এই কমিশনের কাজ ছিল বিগত এক দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করা। কমিশনের মতে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এই তিনটি প্রধান কারণ গুমের ঘটনার পেছনে কাজ করেছে।

মানবাধিকার রক্ষায় সরকার এবার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। প্রেস সচিবের বক্তব্যে পরিষ্কার দোষী কেউ রেহাই পাবে না, দেশের আইন অনুযায়ী সবার বিচার নিশ্চিত করা হবে।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

গুমের সাথে জড়িতদের বিচার বাংলাদেশেই হবে: প্রেস সচিব

আপডেট সময় ০৫:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

 

গুমের ঘটনায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতেই হবে এমনই কঠোর বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।

বুধবার (৪ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে গুম কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুমের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, “নিখোঁজ তিন শতাধিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। একই সঙ্গে নির্যাতনের শিকার পরিবারগুলোর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

গুম কমিশনের প্রতিবেদনের বরাতে প্রেস সচিব জানান, গুমের ঘটনায় র‍্যাবের গোয়েন্দা ইউনিট সবচেয়ে বেশি জড়িত ছিল। তিনি বলেন, “র‍্যাবের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ছিল একটি ভয়াবহ কিলার ও হত্যাকারী বাহিনী। পদোন্নতি ও ভালো পোস্টিংয়ের আশায় র‍্যাব সদস্যরা গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছিল।”

তিনি আরও জানান, গুম ও নির্যাতনের ইতিহাস সংরক্ষণের লক্ষ্যে গণভবনে একটি ‘হরর মিউজিয়াম’ নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে র‍্যাবের নির্যাতনের প্রমাণ, ভুক্তভোগীদের গল্প ও ঘটনার বিবরণ প্রদর্শন করা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, “এই মিউজিয়াম ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার আর ন্যায়বিচারের নামে কী ভয়াবহ কাজ ঘটেছে দেশের বুকে।”

তিনি আরও জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুম কমিশনের প্রতিবেদন ধাপে ধাপে প্রকাশ শুরু হবে, যা ধারাবাহিকভাবে চলবে।

গুম সংক্রান্ত এই কমিশনের কাজ ছিল বিগত এক দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করা। কমিশনের মতে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এই তিনটি প্রধান কারণ গুমের ঘটনার পেছনে কাজ করেছে।

মানবাধিকার রক্ষায় সরকার এবার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলেও ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করা হয়। প্রেস সচিবের বক্তব্যে পরিষ্কার দোষী কেউ রেহাই পাবে না, দেশের আইন অনুযায়ী সবার বিচার নিশ্চিত করা হবে।