নির্বাচন বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত, তবে প্রয়োজন সংস্কারগুলো সম্পন্ন করা: ইইউ রাষ্ট্রদূত

- আপডেট সময় ০৩:১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
- / 28
জাতীয় নির্বাচন কখন হবে, সেটি একান্তই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে যেসব কাঠামোগত সংস্কার দরকার, তা সম্পন্ন করা গুরুত্বপূর্ণ। তবে নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো চাপ নেই।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
ইউরোপীয় রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, “আমরা আশা করি, সব রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সম্মিলিতভাবে প্রয়োজনীয় সংস্কারের দিকে এগিয়ে যাবে।”
নির্বাচনে সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগ্রহী তবে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের উপর নির্ভর করে।
জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণ-অভ্যুত্থানে নিহত ও আহতদের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দোষীদের বিচারে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত মিলার বলেন, “এখন একটি বড় সংস্কারের সুযোগ এসেছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।”
রাখাইনে মানবিক করিডর নিয়ে প্রশ্নে তিনি বলেন, “উভয় পক্ষেরই ভুক্তভোগীরা মানবিক সহায়তা পাওয়ার যোগ্য। সবার জন্য সমানভাবে ত্রাণ পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে চাইলে বাংলাদেশ সরকারকে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্তসহ যোগাযোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, “ফেরত আনার প্রক্রিয়াটি আইনি ও কূটনৈতিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। ইইউ এ ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।”
রাষ্ট্রদূতের এসব বক্তব্যে স্পষ্ট ইইউ বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়, তবে দেশের সার্বভৌম সিদ্ধান্তে কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সংস্কার ও মানবাধিকার ইস্যুতে তারা কেবল সহযোগিতার পক্ষেই রয়েছে।