ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

মিরসরাইয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষে স্বাবলম্বী কৃষকেরা, বাড়ছে আবাদ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষে ভাগ্য বদলাচ্ছেন কৃষকেরা। দিন দিন বাড়ছে এই সবজির আবাদ, বাড়ছে উৎপাদনও। এবারের মৌসুমেও মিলেছে ভালো ফলন। উচ্চফলনশীল ও দেশি জাতের ঢ্যাঁড়শ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে পৌঁছাচ্ছে সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম শহরের বাজারগুলোতেও। মৌসুমের শুরুতে কম দাম পেলেও এখন ভালো দাম পেয়ে সন্তুষ্ট চাষিরা।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৯০ একর জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ হিসাবে উৎপাদিত ঢ্যাঁড়শের বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি। ইছাখালী, মিরসরাই সদর, মঘাদিয়া, সাহেরখালী, ওয়াহেদপুর ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ঢ্যাঁড়শ চাষ বেশি হয়েছে।

কৃষকেরা জানান, ঢ্যাঁড়শ এখন একটি লাভজনক ফসল। মৌসুমি সবজি হলেও প্রায় সারা বছরই উৎপাদন হয়। কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম, ফলে কৃষকের খরচও তুলনামূলকভাবে কম। সারের ও শ্রমিকের ব্যয়ও সীমিত। বাড়ির নারী সদস্যরাও সহজে ঢ্যাঁড়শ তুলতে পারেন, এতে শ্রম খরচ সাশ্রয় হয়। তাই উৎপাদনের পর বিক্রি নিয়ে বড় কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয় না।

সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনার কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৬০ শতকে ঢ্যাঁড়শ চাষ করেছি। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সীতাকুণ্ড, বড়দারোগারহাট ও চট্টগ্রাম শহরে বিক্রি করি। জমি থেকে তুলে পিকআপে করে পাঠাই। প্রতি মণ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ৩০ বছর ধরে ঢ্যাঁড়শ চাষ করছি।’

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘৪০ শতক জমিতে চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকার ঢ্যাঁড়শ বিক্রি করেছি, আরও দেড় লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো। প্রথমে দাম কম ছিল, তবে এখন ভালো দাম পাচ্ছি।’

ইছাখালীর চরশরত এলাকার কৃষক ইকবাল হোসেন শাহীন বলেন, ‘এ বছর এক একর জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ করেছি। প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢ্যাঁড়শ চাষ করি। এবারও মোটামুটি লাভ পাচ্ছি।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপজেলায় এবার প্রায় ৯০ একর জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে চাষ আরও বাড়বে। তবে সরকারিভাবে ঢ্যাঁড়শ চাষে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয় না।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন

মিরসরাইয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষে স্বাবলম্বী কৃষকেরা, বাড়ছে আবাদ

আপডেট সময় ০৭:০২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষে ভাগ্য বদলাচ্ছেন কৃষকেরা। দিন দিন বাড়ছে এই সবজির আবাদ, বাড়ছে উৎপাদনও। এবারের মৌসুমেও মিলেছে ভালো ফলন। উচ্চফলনশীল ও দেশি জাতের ঢ্যাঁড়শ স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে পৌঁছাচ্ছে সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম শহরের বাজারগুলোতেও। মৌসুমের শুরুতে কম দাম পেলেও এখন ভালো দাম পেয়ে সন্তুষ্ট চাষিরা।

মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৯০ একর জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৩০ মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ হিসাবে উৎপাদিত ঢ্যাঁড়শের বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় ৩ কোটি টাকার বেশি। ইছাখালী, মিরসরাই সদর, মঘাদিয়া, সাহেরখালী, ওয়াহেদপুর ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ঢ্যাঁড়শ চাষ বেশি হয়েছে।

কৃষকেরা জানান, ঢ্যাঁড়শ এখন একটি লাভজনক ফসল। মৌসুমি সবজি হলেও প্রায় সারা বছরই উৎপাদন হয়। কীটপতঙ্গের আক্রমণ কম, ফলে কৃষকের খরচও তুলনামূলকভাবে কম। সারের ও শ্রমিকের ব্যয়ও সীমিত। বাড়ির নারী সদস্যরাও সহজে ঢ্যাঁড়শ তুলতে পারেন, এতে শ্রম খরচ সাশ্রয় হয়। তাই উৎপাদনের পর বিক্রি নিয়ে বড় কোনো দুশ্চিন্তা করতে হয় না।

সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া ঘোনার কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ৬০ শতকে ঢ্যাঁড়শ চাষ করেছি। স্থানীয় বাজার ছাড়াও সীতাকুণ্ড, বড়দারোগারহাট ও চট্টগ্রাম শহরে বিক্রি করি। জমি থেকে তুলে পিকআপে করে পাঠাই। প্রতি মণ ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রায় ৩০ বছর ধরে ঢ্যাঁড়শ চাষ করছি।’

খৈয়াছড়া ইউনিয়নের কৃষক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘৪০ শতক জমিতে চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ টাকার ঢ্যাঁড়শ বিক্রি করেছি, আরও দেড় লাখ টাকার বিক্রি করতে পারবো। প্রথমে দাম কম ছিল, তবে এখন ভালো দাম পাচ্ছি।’

ইছাখালীর চরশরত এলাকার কৃষক ইকবাল হোসেন শাহীন বলেন, ‘এ বছর এক একর জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ করেছি। প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢ্যাঁড়শ চাষ করি। এবারও মোটামুটি লাভ পাচ্ছি।’

মিরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘উপজেলায় এবার প্রায় ৯০ একর জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ২৫ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে চাষ আরও বাড়বে। তবে সরকারিভাবে ঢ্যাঁড়শ চাষে কোনো প্রণোদনা দেওয়া হয় না।’