ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

বিশ্বকাপের ৬৪ দলের প্রস্তাব: সমালোচনায় মুখর সাবেক তারকা

বিশ্বকাপ,তারকা
  • আপডেট সময় ১১:৩৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 60

ছবি সংগৃহীত

 

বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রস্তাব নিয়ে ফুটবল জগতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা এই প্রস্তাবকে “খুবই বাজে” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের বক্তব্য এবং উদ্বেগের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আসুন, বিস্তারিত জানি।

ফিফা বিশ্বকাপের আগামী সংস্করণে ৬৪ দলকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই পরিমাণ দলকে একত্রে নিয়ে আসার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলে আরও প্রতিযোগিতা বাড়ানো এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তবে অনেকেই এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বিভিন্ন সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা মতামত দিয়েছেন যে, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করলে ফুটবলের মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা মনে করেন, এতে প্রতিযোগিতার গুণগত মান কমে যাবে এবং টুর্নামেন্টের উত্তেজনা হারাতে পারে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বকাপের ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন।

সাবেক তারকারা বলেন, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করলে অনেক দলের মধ্যে অমিল দেখা দিতে পারে। তারা মনে করেন, এটি খেলাধুলার মানকে ব্যাহত করবে এবং দর্শকদের আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে। ফুটবলে প্রতিযোগিতা ও উত্তেজনা বজায় রাখতে সীমিত সংখ্যক দলের অংশগ্রহণ জরুরি।

ফিফা এই প্রস্তাবের মাধ্যমে আরও অর্থনৈতিক লাভের আশা করছে, তবে সাবেক খেলোয়াড়রা মনে করেন যে, এই প্রস্তাবের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আর্থিক লাভ, যা খেলার দর্শনীয়তা ও মানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তারা এই ধরনের আর্থিক প্রবণতাকে ফুটবলের মৌলিক আদর্শের বিপরীতে হিসেবে দেখছেন।

সাবেক তারকারা ফুটবলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্বেও কথা বলেছেন। তাদের মতে, বিশ্বকাপ একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে সেরা দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৬৪ দলের প্রস্তাব ফুটবলের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে খেলার জন্য ক্ষতিকর।

এই প্রস্তাব নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেক ফুটবল সমর্থক বিশ্বাস করেন যে, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ হলে টুর্নামেন্টের গুণগত মান কমে যাবে এবং তারা নিজেদের প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করতে পারবেন না। সামাজিক মিডিয়ায় এই বিষয়ে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এখন ফিফা এই প্রস্তাবের ওপর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সাবেক তারকারা এবং বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ফিফা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে এবং ফুটবলের ঐতিহ্য ও গুণগত মান বজায় রাখবে। তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে রক্ষা করতে হলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রস্তাব নিয়ে সাবেক তারকাদের সমালোচনা ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। ফুটবলের মান এবং ঐতিহ্য রক্ষা করতেই হবে, তা নয় কি? আশা করা যায়, ফিফা এই বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিশ্বকাপের ৬৪ দলের প্রস্তাব: সমালোচনায় মুখর সাবেক তারকা

আপডেট সময় ১১:৩৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

 

বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রস্তাব নিয়ে ফুটবল জগতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেক বিশেষজ্ঞ এবং সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা এই প্রস্তাবকে “খুবই বাজে” হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাদের বক্তব্য এবং উদ্বেগের পেছনে বিভিন্ন কারণ রয়েছে। আসুন, বিস্তারিত জানি।

ফিফা বিশ্বকাপের আগামী সংস্করণে ৬৪ দলকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই পরিমাণ দলকে একত্রে নিয়ে আসার লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলে আরও প্রতিযোগিতা বাড়ানো এবং ভিন্ন ভিন্ন দেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। তবে অনেকেই এই প্রস্তাবের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

বিভিন্ন সাবেক তারকা খেলোয়াড়রা মতামত দিয়েছেন যে, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করলে ফুটবলের মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা মনে করেন, এতে প্রতিযোগিতার গুণগত মান কমে যাবে এবং টুর্নামেন্টের উত্তেজনা হারাতে পারে। তাদের মধ্যে অনেকেই বিশ্বকাপের ঐতিহ্য ও গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেছেন।

সাবেক তারকারা বলেন, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করলে অনেক দলের মধ্যে অমিল দেখা দিতে পারে। তারা মনে করেন, এটি খেলাধুলার মানকে ব্যাহত করবে এবং দর্শকদের আগ্রহ কমিয়ে দিতে পারে। ফুটবলে প্রতিযোগিতা ও উত্তেজনা বজায় রাখতে সীমিত সংখ্যক দলের অংশগ্রহণ জরুরি।

ফিফা এই প্রস্তাবের মাধ্যমে আরও অর্থনৈতিক লাভের আশা করছে, তবে সাবেক খেলোয়াড়রা মনে করেন যে, এই প্রস্তাবের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে আর্থিক লাভ, যা খেলার দর্শনীয়তা ও মানের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তারা এই ধরনের আর্থিক প্রবণতাকে ফুটবলের মৌলিক আদর্শের বিপরীতে হিসেবে দেখছেন।

সাবেক তারকারা ফুটবলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গুরুত্বেও কথা বলেছেন। তাদের মতে, বিশ্বকাপ একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে সেরা দলগুলো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ৬৪ দলের প্রস্তাব ফুটবলের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে খেলার জন্য ক্ষতিকর।

এই প্রস্তাব নিয়ে সমর্থকদের মধ্যেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেক ফুটবল সমর্থক বিশ্বাস করেন যে, ৬৪ দলের বিশ্বকাপ হলে টুর্নামেন্টের গুণগত মান কমে যাবে এবং তারা নিজেদের প্রিয় দলের খেলা উপভোগ করতে পারবেন না। সামাজিক মিডিয়ায় এই বিষয়ে নানা আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এখন ফিফা এই প্রস্তাবের ওপর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। সাবেক তারকারা এবং বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, ফিফা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে এবং ফুটবলের ঐতিহ্য ও গুণগত মান বজায় রাখবে। তারা মনে করেন, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে রক্ষা করতে হলে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।

বিশ্বকাপে ৬৪ দলের প্রস্তাব নিয়ে সাবেক তারকাদের সমালোচনা ফুটবলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে। ফুটবলের মান এবং ঐতিহ্য রক্ষা করতেই হবে, তা নয় কি? আশা করা যায়, ফিফা এই বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।