ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে আজ মুখোমুখি হবে মেসির ইন্টার মায়ামি ও পিএসজি হাতিয়ার কিশোরীকে নির্যাতন ও অপহরণ : চট্টগ্রামে অভিযুক্ত আটক জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকার ব্যর্থ, এনসিপি নিজেই ঘোষণা দেবে: নাহিদ ইসলাম ভারতে রথযাত্রায় মর্মান্তিক পদদলনের ঘটনায় নিহত ৩, আহত ১০ উত্তরার আজমপুরে ট্রাকচাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষায় পাকিস্তান কোনো আপস করবে না: সেনাপ্রধান বেনফিকাকে হারিয়ে চেলসি ও বোতাফোগোর হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পালমেইরাস ডিএসইতে আধা ঘণ্টায় লেনদেন ৮০ কোটি টাকা, পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি স্থগিত করল আপিল বিভাগ পাকিস্তানেরসেন্ট্রাল জেলে বন্দিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় সুপারসহ ১৫ কর্মকর্তা বরখাস্ত

শান্তির আশায় সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কূটনীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

সৌদি আরবের মাটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করা। রবিবার ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক শেষে আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়ে আলোচনা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ ও কার্যকর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করে উমেরভ বলেন, “আমরা জ্বালানিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।”

আলোচনায় কৃষ্ণসাগরের নৌপথ এবং বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়া এমন একটি চুক্তির পুনর্জাগরণে আগ্রহী, যা ইউক্রেনকে সরাসরি হামলা ছাড়াই তার বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে দেবে। এই উদ্যোগ কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য একটি ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।

আগের আলোচনা পর্বগুলোর মতো এবারও সব পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই দফায় টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যেখানে মূলত অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদিতে এই ত্রিমুখী আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। যুদ্ধের ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এই নতুন প্রচেষ্টা কি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা ঘটাতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তির আশায় সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কূটনীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে?

আপডেট সময় ০৬:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

সৌদি আরবের মাটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করা। রবিবার ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক শেষে আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়ে আলোচনা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ ও কার্যকর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করে উমেরভ বলেন, “আমরা জ্বালানিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।”

আলোচনায় কৃষ্ণসাগরের নৌপথ এবং বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়া এমন একটি চুক্তির পুনর্জাগরণে আগ্রহী, যা ইউক্রেনকে সরাসরি হামলা ছাড়াই তার বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে দেবে। এই উদ্যোগ কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য একটি ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।

আগের আলোচনা পর্বগুলোর মতো এবারও সব পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই দফায় টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যেখানে মূলত অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদিতে এই ত্রিমুখী আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। যুদ্ধের ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এই নতুন প্রচেষ্টা কি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা ঘটাতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।