ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতিসংঘের জুলাই অভ্যুত্থান রিপোর্টকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল জারি রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইইউ-এর ১৭তম প্যাকেজের নিষেধাজ্ঞা: তুরস্ক সহ একাধিক দেশও এর অন্তর্ভুক্ত সুন্দরবন সুরক্ষায় নতুন কৌশলে বন বিভাগ, ফাঁদ জমা দিলে মিলছে পুরস্কার ভারতের অরুণাচলের ২৭ জায়গার নতুন নামকরণ করল চীন ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনা নিয়ে সৌদির পূর্ণ সমর্থন আছে: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনেতাদের সংলাপে আহ্বান নতুন পোপ লিও চতুর্দশের ভিসা সংকটে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে যাত্রী কমেছে, কমেছে রাজস্ব আয় মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ ডিপ্লোমা নার্সিংকে ডিগ্রির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে শাহবাগ নার্সিং শিক্ষার্থীদের অবরোধ আইপিএলে ৬ কোটি রুপিতে মোস্তাফিজকে দলে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস

শান্তির আশায় সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কূটনীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে?

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

সৌদি আরবের মাটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করা। রবিবার ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক শেষে আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়ে আলোচনা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ ও কার্যকর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করে উমেরভ বলেন, “আমরা জ্বালানিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।”

আলোচনায় কৃষ্ণসাগরের নৌপথ এবং বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়া এমন একটি চুক্তির পুনর্জাগরণে আগ্রহী, যা ইউক্রেনকে সরাসরি হামলা ছাড়াই তার বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে দেবে। এই উদ্যোগ কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য একটি ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।

আগের আলোচনা পর্বগুলোর মতো এবারও সব পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই দফায় টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যেখানে মূলত অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদিতে এই ত্রিমুখী আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। যুদ্ধের ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এই নতুন প্রচেষ্টা কি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা ঘটাতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

শান্তির আশায় সৌদিতে যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিমুখী কূটনীতি: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির পথে?

আপডেট সময় ০৬:০১:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

 

সৌদি আরবের মাটিতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলাদা আলোচনায় বসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার লক্ষ্য ইউক্রেন যুদ্ধের সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি করা। রবিবার ইউক্রেনের সঙ্গে প্রথম দফার বৈঠক শেষে আজ সোমবার রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখোমুখি হবেন মার্কিন কূটনীতিকরা।

ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ জানান, রবিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শুরু হয়ে আলোচনা পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকটি ‘ফলপ্রসূ ও কার্যকর’ হয়েছে বলে উল্লেখ করে উমেরভ বলেন, “আমরা জ্বালানিসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেছি।”

আলোচনায় কৃষ্ণসাগরের নৌপথ এবং বন্দর ব্যবহারের বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়া এমন একটি চুক্তির পুনর্জাগরণে আগ্রহী, যা ইউক্রেনকে সরাসরি হামলা ছাড়াই তার বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে দেবে। এই উদ্যোগ কৃষিপণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সাবেক দূত এবং ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য একটি ৩০ দিনের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা, যা পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তিচুক্তির জন্য দরজা খুলে দিতে পারে।

আগের আলোচনা পর্বগুলোর মতো এবারও সব পক্ষের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। তবে এই দফায় টেকনিক্যাল এবং কৌশলগত বিষয়গুলোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, যেখানে মূলত অভিজ্ঞ কূটনীতিক ও সরকারি উপদেষ্টারা যুক্ত রয়েছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, সৌদিতে এই ত্রিমুখী আলোচনার ফলাফল ইউক্রেন যুদ্ধের গতিপথ বদলে দিতে পারে। যুদ্ধের ক্লান্তি ও অর্থনৈতিক চাপের মুখে এই নতুন প্রচেষ্টা কি দীর্ঘস্থায়ী শান্তির সূচনা ঘটাতে পারবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।