ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অভিবাসী মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়াল: ২০২৪ সাল ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক বছর’

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 54

ছবি সংগৃহীত

 

২০২৪ সাল বিশ্বজুড়ে অভিবাসীদের জন্য এক মর্মান্তিক বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, এ বছর যাত্রাপথে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ হাজার অভিবাসী। মৃত্যুর এই সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংস্থাটি এই বাস্তবতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

আইওএম জানায়, ২০২৪ সালে মোট ৮ হাজার ৯৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ২০০ জন বেশি। এমন পরিস্থিতিকে অভিবাসন সংকটের এক গভীর মানবিক বিপর্যয় হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ।

২০১৪ সাল থেকে অভিবাসী মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে আইওএম। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৭৪ হাজারের বেশি অভিবাসী নিখোঁজ বা মৃত্যুবরণ করেছেন। আর শুধু গত পাঁচ বছরেই এই সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে।

অভিবাসনপথে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে এশিয়া মহাদেশে, যেখানে ২০২৪ সালে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুই হাজার ৭৭৮ জন। এর পরই রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, যেখানে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৪৫২ জনের। তৃতীয় অবস্থানে আছে আফ্রিকা, সেখানে মারা গেছেন দুই হাজার ২৪২ জন।

আইওএম-এর উপপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, “প্রতিটি মৃত্যুর পেছনে একটি জীবন, একটি পরিবার, একটি স্বপ্ন থাকে। এই ক্ষতি শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি মানবিক ব্যর্থতার প্রতিফলন।”

তিনি আরও বলেন, “অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় বা কখনও বাধ্য হয়েই নিজ ভূমি ছেড়ে নিরাপদ জীবনের আশায় রওনা হন। কিন্তু সেই যাত্রাই হয়ে উঠছে মৃত্যুযাত্রা।”

আইওএম সতর্ক করেছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ঘটনার তথ্য এখনো প্রমাণিত নয় বা রেকর্ডভুক্ত হয়নি।

বিশ্বের নেতৃবৃন্দ ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি আইওএম-এর আহ্বান এখনই সময় কার্যকর ও মানবিক অভিবাসন নীতির। নইলে এই মৃত্যুর মিছিল থামবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

অভিবাসী মৃত্যুর রেকর্ড ছাড়াল: ২০২৪ সাল ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক বছর’

আপডেট সময় ০১:৪৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

২০২৪ সাল বিশ্বজুড়ে অভিবাসীদের জন্য এক মর্মান্তিক বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, এ বছর যাত্রাপথে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৯ হাজার অভিবাসী। মৃত্যুর এই সংখ্যা গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। সংস্থাটি এই বাস্তবতাকে ‘অগ্রহণযোগ্য ও প্রতিরোধযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

আইওএম জানায়, ২০২৪ সালে মোট ৮ হাজার ৯৩৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী তাদের গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই প্রাণ হারিয়েছেন। ২০২৩ সালের তুলনায় এটি ২০০ জন বেশি। এমন পরিস্থিতিকে অভিবাসন সংকটের এক গভীর মানবিক বিপর্যয় হিসেবে দেখছে জাতিসংঘ।

২০১৪ সাল থেকে অভিবাসী মৃত্যুর তথ্য সংরক্ষণ করে আসছে আইওএম। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৭৪ হাজারের বেশি অভিবাসী নিখোঁজ বা মৃত্যুবরণ করেছেন। আর শুধু গত পাঁচ বছরেই এই সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে।

অভিবাসনপথে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে এশিয়া মহাদেশে, যেখানে ২০২৪ সালে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুই হাজার ৭৭৮ জন। এর পরই রয়েছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল, যেখানে মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৪৫২ জনের। তৃতীয় অবস্থানে আছে আফ্রিকা, সেখানে মারা গেছেন দুই হাজার ২৪২ জন।

আইওএম-এর উপপরিচালক উগোচি ড্যানিয়েলস বলেন, “প্রতিটি মৃত্যুর পেছনে একটি জীবন, একটি পরিবার, একটি স্বপ্ন থাকে। এই ক্ষতি শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি মানবিক ব্যর্থতার প্রতিফলন।”

তিনি আরও বলেন, “অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় বা কখনও বাধ্য হয়েই নিজ ভূমি ছেড়ে নিরাপদ জীবনের আশায় রওনা হন। কিন্তু সেই যাত্রাই হয়ে উঠছে মৃত্যুযাত্রা।”

আইওএম সতর্ক করেছে, প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ঘটনার তথ্য এখনো প্রমাণিত নয় বা রেকর্ডভুক্ত হয়নি।

বিশ্বের নেতৃবৃন্দ ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি আইওএম-এর আহ্বান এখনই সময় কার্যকর ও মানবিক অভিবাসন নীতির। নইলে এই মৃত্যুর মিছিল থামবে না।