নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী, দ্রুত বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণের উদ্যোগ: আইন উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৪:৫৯:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
- / 22
সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী নিয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সংশোধনের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতকরণ, দ্রুত বিচার ও তদন্তের সময়সীমা কমানোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় সংশোধনী সংক্রান্ত নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
আইন উপদেষ্টা জানান, শিশু ধর্ষণ মামলাগুলোর জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান রাখা হয়েছে, যাতে এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা যায়। পাশাপাশি, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সংঘটিত ধর্ষণকে আলাদা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ধর্ষণের বিচার ও তদন্তের দীর্ঘসূত্রিতা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার অপেক্ষায় বছরের পর বছর মামলা ঝুলে থাকার প্রবণতা কমাতে আদালতকে বিশেষ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। যদি আদালত মনে করেন, মেডিকেল রিপোর্ট ও পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব, তাহলে ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই রায় দেওয়া যাবে।
ড. আসিফ নজরুল আরও জানান, ধর্ষণের উদ্দেশ্যে গুরুতর শারীরিক আঘাতের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান যুক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের শাস্তি আরও কঠোর করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহল একমত হয়েছে।
এই সংশোধনীর ফলে নারী ও শিশু নির্যাতনের বিচার প্রক্রিয়া আরও গতিশীল ও কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত হলে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা ন্যায়বিচার পাবেন এবং অপরাধীরা শাস্তি এড়ানোর সুযোগ পাবে না।