ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মুখে শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:২২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 28

ছবি সংগৃহীত

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন, যেখানে বলা হয় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দুদক এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

দুদক জানিয়েছে, অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড ও তথ্য সংগ্রহে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণেই তাদের বিদেশ যাত্রা রোধ করা জরুরি হয়ে পড়ে।

আদালতের এই আদেশ দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের ইতিহাসে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত এমন সিদ্ধান্ত বিরল ঘটনা। তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটি বড় পরীক্ষা। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে,
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক সে নিয়েও নানা মহলে আলোচনা চলছে।

এদিকে, সাধারণ জনগণের মধ্যে এ ইস্যু নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মুখে শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যরা

আপডেট সময় ০৭:২২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন করেন, যেখানে বলা হয় শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। দুদক এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

দুদক জানিয়েছে, অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা গোপনে দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড ও তথ্য সংগ্রহে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে, যা অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণেই তাদের বিদেশ যাত্রা রোধ করা জরুরি হয়ে পড়ে।

আদালতের এই আদেশ দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দেশের ইতিহাসে দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত এমন সিদ্ধান্ত বিরল ঘটনা। তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই পদক্ষেপ বিচার ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার একটি বড় পরীক্ষা। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে এটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে,
অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগেই দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার মতো সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক সে নিয়েও নানা মহলে আলোচনা চলছে।

এদিকে, সাধারণ জনগণের মধ্যে এ ইস্যু নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিফলন হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।