ঢাকা ০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আশার আলো, আলোচনা এগিয়ে নিতে ইসরায়েল ও হামাসের সম্মতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি: সংগৃহীত

 

গাজায় চলমান সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, আলোচনার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আলোচনার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।

তবে আলোচনার মাঝেই গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন।
গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। খাদ্য ও ওষুধের সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খান ইউনিসে ছয়টি বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ ইসরায়েলের অবরোধের ফলে সেখানে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এই বেকারিগুলোর ওপর হাজারো পরিবার নির্ভরশীল ছিল, ফলে খাদ্যসংকট আরও প্রকট হয়ে উঠছে।

যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রসঙ্গে হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে মিসরের কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা গাজায় ‘অবাধ ও শর্তহীন’ মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায়।

হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আলোচনা নিয়ে তারা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক বার্তা পেয়েছেন। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়িয়ে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত রাখতে চায়।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়, যা ১ মার্চ শেষ হয়। এই সময়ের মধ্যে হামাস ২৫ জন জীবিত জিম্মি এবং আটটি মৃতদেহ হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ১,৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি তুলনামূলক শান্ত পরিবেশ বজায় রাখলেও সাম্প্রতিক হামলা ও অবরোধ পরিস্থিতিকে আবারও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

এবারের আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের আন্তরিকতা ও মধ্যস্থতাকারীদের কৌশলের ওপর। তবে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়িত হলে গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আশা করা যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে আশার আলো, আলোচনা এগিয়ে নিতে ইসরায়েল ও হামাসের সম্মতি

আপডেট সময় ১১:২০:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

 

গাজায় চলমান সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্যায় নিয়ে আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, আলোচনার ব্যাপারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা আলোচনার অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা এবং জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া দ্রুততর করা।

তবে আলোচনার মাঝেই গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের অনেকের অবস্থা সংকটাপন্ন।
গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের কারণে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। খাদ্য ও ওষুধের সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খান ইউনিসে ছয়টি বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ ইসরায়েলের অবরোধের ফলে সেখানে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এই বেকারিগুলোর ওপর হাজারো পরিবার নির্ভরশীল ছিল, ফলে খাদ্যসংকট আরও প্রকট হয়ে উঠছে।

যুদ্ধবিরতির আলোচনা প্রসঙ্গে হামাস জানিয়েছে, তাদের প্রতিনিধিরা ইতোমধ্যে মিসরের কায়রোয় মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা গাজায় ‘অবাধ ও শর্তহীন’ মানবিক সহায়তা প্রবেশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। পাশাপাশি হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চায়।

হামাসের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, আলোচনা নিয়ে তারা এখন পর্যন্ত ইতিবাচক বার্তা পেয়েছেন। তবে ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়িয়ে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত রাখতে চায়।

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়, যা ১ মার্চ শেষ হয়। এই সময়ের মধ্যে হামাস ২৫ জন জীবিত জিম্মি এবং আটটি মৃতদেহ হস্তান্তর করে। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রায় ১,৮০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি তুলনামূলক শান্ত পরিবেশ বজায় রাখলেও সাম্প্রতিক হামলা ও অবরোধ পরিস্থিতিকে আবারও উত্তপ্ত করে তুলেছে।

এবারের আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নির্ভর করছে উভয় পক্ষের আন্তরিকতা ও মধ্যস্থতাকারীদের কৌশলের ওপর। তবে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ বাস্তবায়িত হলে গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আশা করা যায়।