১০:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
ভারতের অনুরোধে ইলিশ পাঠানো হচ্ছে, কোনো চাপে নয় : মৎস্য উপদেষ্টা স্থায়ীভাবে পরমাণু রাষ্ট্র ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশের ব্যাপারে তথ্য দেওয়ার আহ্বান বিজিবির তুরস্ক নিজস্ব পারমাণবিক রিঅ্যাক্টর উন্নয়নের জন্য আনুষ্ঠানিক আহ্বান জানালো আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক ৪ দালালের কারাদণ্ড বাগেরহাটে চার আসন রক্ষার দাবিতে তিন দিনের হরতাল শুরু ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহত ৫৩, খাদ্য সংকটে নিঃশেষ হচ্ছে প্রাণ আজ থেকে পদ্মা সেতুতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায় শুরু ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশসহ ৬ দেশ ভাঙ্গার অবরোধ তুলে নিতে সময় বেঁধে দিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ট্রাম্প প্রশাসনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা, পারমাণবিক নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপের পক্ষে: কিম জং উনের বোন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫
  • / 55

ছবি সংগৃহীত

 

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন, কিম ইয়ো জং, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সাম্প্রতিক ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ তার মন্তব্য তুলে ধরেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস ভিনসন রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে নোঙর করেছে, যা মার্কিন সমর্থনের শক্তিশালী বার্তা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানায়, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি মার্কিন সমর্থন প্রদর্শন ও শক্তির প্রদর্শন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তির অংশ।

কিম ইয়ো জং এই পদক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংঘাত নীতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সংঘাতের পথে হাঁটছে, আর দক্ষিণ কোরিয়া আত্মঘাতী পথে চলছে।” তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়া সব বিকল্প বিবেচনা করবে যাতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

মঙ্গলবার কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, কিম ইয়ো জং বলেন, “এই বছর নতুন প্রশাসন আসার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের শত্রুতাপূর্ণ নীতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট ন্যায্যতা প্রদান করছে।”

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি নিয়ে কিম ইয়ো জংয়ের মন্তব্যকে ‘প্রতারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা জানিয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং তাদের জন্য একমাত্র পথ হলো পারমাণবিক অস্ত্র থেকে সরে আসা।”

এটি একটি জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত, যেখানে বিশ্ব শক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এবং উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক শক্তি জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প প্রশাসনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা, পারমাণবিক নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপের পক্ষে: কিম জং উনের বোন

আপডেট সময় ০৩:১০:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

 

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন, কিম ইয়ো জং, যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের সাম্প্রতিক ‘উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড’ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হিসেবে উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ তার মন্তব্য তুলে ধরেছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস ভিনসন রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান বন্দরে নোঙর করেছে, যা মার্কিন সমর্থনের শক্তিশালী বার্তা হিসেবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানায়, এটি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি মার্কিন সমর্থন প্রদর্শন ও শক্তির প্রদর্শন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্তির অংশ।

কিম ইয়ো জং এই পদক্ষেপের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংঘাত নীতির’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা সংঘাতের পথে হাঁটছে, আর দক্ষিণ কোরিয়া আত্মঘাতী পথে চলছে।” তিনি আরও জানান, উত্তর কোরিয়া সব বিকল্প বিবেচনা করবে যাতে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

মঙ্গলবার কেসিএনএ-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, কিম ইয়ো জং বলেন, “এই বছর নতুন প্রশাসন আসার পর যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের শত্রুতাপূর্ণ নীতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, যা উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি বৃদ্ধির পক্ষে যথেষ্ট ন্যায্যতা প্রদান করছে।”

এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র বৃদ্ধি নিয়ে কিম ইয়ো জংয়ের মন্তব্যকে ‘প্রতারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তারা জানিয়েছে, “উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না এবং তাদের জন্য একমাত্র পথ হলো পারমাণবিক অস্ত্র থেকে সরে আসা।”

এটি একটি জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত, যেখানে বিশ্ব শক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে এবং উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক শক্তি জোরদারের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।