ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর

পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 46

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন আগামী সপ্তাহে ৫,৪০০ বেসামরিক কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন নিয়োগ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

পেন্টাগনের কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক জানিয়েছেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো আরও দক্ষ ও কার্যকর করতে চাই। এই পদক্ষেপ তারই অংশ।”

এই সিদ্ধান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তার প্রশাসন বাজেট সাশ্রয়ের কৌশল হিসেবে সরকারি চাকরির সংখ্যা কমিয়ে আনার পক্ষে ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় কর্মী ছাঁটাই প্রতিরক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক বিভাগে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

এদিকে, পেন্টাগনের এই ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু আইনপ্রণেতা এবং বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অন্যদিকে, বাজেট নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকা বিশ্লেষকরা একে “দ্রুত ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পর প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের জনবল কাঠামোর নতুন মূল্যায়ন করবে এবং পরবর্তী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কবে নাগাদ নতুন নিয়োগ পুনরায় শুরু হবে।

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর

পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

আপডেট সময় ০৩:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন আগামী সপ্তাহে ৫,৪০০ বেসামরিক কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন নিয়োগ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

পেন্টাগনের কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক জানিয়েছেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো আরও দক্ষ ও কার্যকর করতে চাই। এই পদক্ষেপ তারই অংশ।”

এই সিদ্ধান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তার প্রশাসন বাজেট সাশ্রয়ের কৌশল হিসেবে সরকারি চাকরির সংখ্যা কমিয়ে আনার পক্ষে ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় কর্মী ছাঁটাই প্রতিরক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক বিভাগে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

এদিকে, পেন্টাগনের এই ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু আইনপ্রণেতা এবং বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অন্যদিকে, বাজেট নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকা বিশ্লেষকরা একে “দ্রুত ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পর প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের জনবল কাঠামোর নতুন মূল্যায়ন করবে এবং পরবর্তী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কবে নাগাদ নতুন নিয়োগ পুনরায় শুরু হবে।

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।