ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের সামরিক শক্তি প্রদর্শনে শুরু হচ্ছে বৃহৎ মহড়া তাসমান সাগরে চীনের সামরিক মহড়া, উড়োজাহাজের রুট পরিবর্তন ক্রিপ্টো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় হ্যাক: Bybit থেকে উধাও ১.৪৬ বিলিয়ন ডলার! রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি, সড়ক অবরোধ পেরুর শপিং সেন্টারে ফুড কোর্টের ছাদ ধসে নিহত ৩, আহত ৭৪ সুনামগঞ্জে শিরনি নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সংঘর্ষ, ৩০ জন আহত পরিবেশ রক্ষাই আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা সুযোগ পেলে রাষ্ট্র পুনর্গঠনে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে বিএনপি: তারেক রহমান তেঁতুল কাঠের ঘানি ভাঙ্গা খাঁটি সরিষার তেলের পুষ্টিগুণ, উপকারিতা ও চেনার উপায় ডিপিএলে ২০২৫ মৌসুমে নাম তুললেন সাকিব, তবে কি দেশে ফেরার ইঙ্গিত?

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর

পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন আগামী সপ্তাহে ৫,৪০০ বেসামরিক কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন নিয়োগ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

পেন্টাগনের কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক জানিয়েছেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো আরও দক্ষ ও কার্যকর করতে চাই। এই পদক্ষেপ তারই অংশ।”

এই সিদ্ধান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তার প্রশাসন বাজেট সাশ্রয়ের কৌশল হিসেবে সরকারি চাকরির সংখ্যা কমিয়ে আনার পক্ষে ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় কর্মী ছাঁটাই প্রতিরক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক বিভাগে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

এদিকে, পেন্টাগনের এই ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু আইনপ্রণেতা এবং বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অন্যদিকে, বাজেট নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকা বিশ্লেষকরা একে “দ্রুত ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পর প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের জনবল কাঠামোর নতুন মূল্যায়ন করবে এবং পরবর্তী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কবে নাগাদ নতুন নিয়োগ পুনরায় শুরু হবে।

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৩:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৪ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর

পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত

আপডেট সময় ০৩:০৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন আগামী সপ্তাহে ৫,৪০০ বেসামরিক কর্মী ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, অনির্দিষ্টকালের জন্য নতুন নিয়োগ স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

পেন্টাগনের কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক জানিয়েছেন, ছাঁটাই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুন নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কাঠামো আরও দক্ষ ও কার্যকর করতে চাই। এই পদক্ষেপ তারই অংশ।”

এই সিদ্ধান্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেডারেল কর্মীসংখ্যা কমানোর নীতির ধারাবাহিকতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তার প্রশাসন বাজেট সাশ্রয়ের কৌশল হিসেবে সরকারি চাকরির সংখ্যা কমিয়ে আনার পক্ষে ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, এত বড় কর্মী ছাঁটাই প্রতিরক্ষা বিভাগের কার্যক্রমে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে প্রশাসনিক ও লজিস্টিক বিভাগে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, এটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার জন্য দীর্ঘমেয়াদে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

এদিকে, পেন্টাগনের এই ঘোষণার পরপরই রাজনৈতিক অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু আইনপ্রণেতা এবং বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। অন্যদিকে, বাজেট নিয়ন্ত্রণের পক্ষে থাকা বিশ্লেষকরা একে “দ্রুত ও প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত” বলে উল্লেখ করেছেন।

পেন্টাগন জানিয়েছে, কর্মী ছাঁটাইয়ের পর প্রতিরক্ষা বিভাগ তাদের জনবল কাঠামোর নতুন মূল্যায়ন করবে এবং পরবর্তী নিয়োগের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করা হবে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, কবে নাগাদ নতুন নিয়োগ পুনরায় শুরু হবে।

এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এটি সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা ও বিতর্ক আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।