ঢাকা ০৮:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামালের ৫৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভীতি প্রদর্শনের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেফতার করেছে ডিবি চাঞ্চল্যকর ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোটরসাইকেল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পেশাদার ছিনতাইকারী শাকিলকে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ যুদ্ধবিরতিতে ফিলিস্তিনিদের ‘না’, প্রস্তাবে যা বলেছে ইসরায়েল ড. ইউনূস বাংলাদেশকে নিপীড়নের ছায়া থেকে বের করে আনছেন তালেবান আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, রায় দিল রাশিয়া গুগল এখন অস্ত্র ও নজরদারির জন্য এআই তৈরি করছে ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বন্দুকধারীর হামলায় ৫ জন নিহত, ৪ জন আহত — সন্দেহভাজন আটক ইসরায়েল সীমান্তের কাছে হিজবুল্লাহকে হটাতে কাজ করছে লেবানন সেনাবাহিনী সিরিয়ার স্বৈরশাসকের মূল্যবান সম্পদ পাচারে গোপন বিমান মিশন

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উন্নয়ন: সাফল্যের নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজশাহী বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে এক নতুন সাফল্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আট জেলার কৃষকেরা এখন সারা বছরই প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন, যা তাদের কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

পৌনে দুই দশক আগে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। জমির ফসল নষ্ট হতো, আর কৃষকরা শুধু বর্ষাকালেই এক মৌসুম চাষ করতে পারতেন। কিন্তু বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সেচের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এতে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যায়।

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ কৃষক ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু নলকূপের পানির স্তরও হ্রাস পেয়েছে, তবে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেচ প্রকল্প কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এবং কৃষি উৎপাদনে তারা এক নতুন দিগন্তের সূচনা দেখছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উন্নয়ন: সাফল্যের নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাজশাহী বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে এক নতুন সাফল্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আট জেলার কৃষকেরা এখন সারা বছরই প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন, যা তাদের কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

পৌনে দুই দশক আগে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। জমির ফসল নষ্ট হতো, আর কৃষকরা শুধু বর্ষাকালেই এক মৌসুম চাষ করতে পারতেন। কিন্তু বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সেচের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এতে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যায়।

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ কৃষক ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু নলকূপের পানির স্তরও হ্রাস পেয়েছে, তবে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেচ প্রকল্প কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এবং কৃষি উৎপাদনে তারা এক নতুন দিগন্তের সূচনা দেখছেন।