০১:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উন্নয়ন: সাফল্যের নতুন দিগন্ত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 112

ছবি: সংগৃহীত

 

রাজশাহী বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে এক নতুন সাফল্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আট জেলার কৃষকেরা এখন সারা বছরই প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন, যা তাদের কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

পৌনে দুই দশক আগে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। জমির ফসল নষ্ট হতো, আর কৃষকরা শুধু বর্ষাকালেই এক মৌসুম চাষ করতে পারতেন। কিন্তু বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সেচের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এতে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ কৃষক ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু নলকূপের পানির স্তরও হ্রাস পেয়েছে, তবে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেচ প্রকল্প কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এবং কৃষি উৎপাদনে তারা এক নতুন দিগন্তের সূচনা দেখছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বরেন্দ্র অঞ্চলে সেচ ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের উন্নয়ন: সাফল্যের নতুন দিগন্ত

আপডেট সময় ১২:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

 

রাজশাহী বিভাগের বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য সেচ ব্যবস্থাপনায় এসেছে এক নতুন সাফল্য। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলের আট জেলার কৃষকেরা এখন সারা বছরই প্রয়োজনীয় সেচ সুবিধা পাচ্ছেন, যা তাদের কৃষিকাজে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

পৌনে দুই দশক আগে, এই অঞ্চলের অধিকাংশ জমি শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি পড়ে থাকত। জমির ফসল নষ্ট হতো, আর কৃষকরা শুধু বর্ষাকালেই এক মৌসুম চাষ করতে পারতেন। কিন্তু বিএমডিএ’র সেচ প্রকল্প চালু হওয়ার পর এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে স্মার্ট প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে কৃষকরা সেচের জন্য ঘণ্টাপ্রতি ১২০ থেকে ১৪৫ টাকা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছেন। এতে আউশ, আমন ও রবি মৌসুমে কোনো জমি অনাবাদি থাকে না। সরিষা, ভুট্টা, পেঁয়াজ, আলুসহ বিভিন্ন ফসল এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বিএমডিএ’র রাজশাহী রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সেচ কার্যক্রম সচল রাখতে গভীর নলকূপ স্থাপন ও নদী-খাল খননের মাধ্যমে পানি সংরক্ষণের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, ভূ-উপরস্থ পানি ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ কৃষক ৩ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন।

এমনকি রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, বগুড়া ও পাবনায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছু নলকূপের পানির স্তরও হ্রাস পেয়েছে, তবে নতুন গভীর নলকূপ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই সেচ প্রকল্প কৃষকদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে এবং কৃষি উৎপাদনে তারা এক নতুন দিগন্তের সূচনা দেখছেন।