কৃষি খবর
রংপুরে সরিষার উৎপাদনে বিপ্লব: কম খরচে অধিক লাভ
বাংলাদেশের ভোজ্যতেল উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রংপুর অঞ্চল। বিশেষত, সরিষার আবাদে এ অঞ্চলে দেখা দিয়েছে এক নতুন বিপ্লব। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে রংপুরে সরিষার আবাদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। উন্নত জাত এবং আধুনিক উৎপাদন কৌশল ব্যবহারের ফলে ফলনও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রংপুরের বদরগঞ্জে বারি সরিষা-২০-এর মাঠ প্রদর্শনীতে কৃষকরা সরিষা আবাদে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তাদের মতে, কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সরিষা চাষে ঝুঁকছেন তারা। পতিত জমি এখন ভরে উঠছে সোনালী সরিষার আবাদে।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ইতোমধ্যে স্বল্পমেয়াদী ও উচ্চফলনশীল বারি সরিষা-১৪, ১৫, ১৭ এবং ২০ জাত উদ্ভাবন করেছে। এসব জাতের জীবনকাল মাত্র ৮০-৮৫ দিন এবং প্রতি হেক্টরে ফলন দেড় থেকে দুই টন পর্যন্ত। এসব জাত চাষের ফলে কৃষকরা আমন ধান কাটার পরও বোরো ধানের জন্য জমি প্রস্তুত করতে পারছেন।
চলতি বছরে রংপুর অঞ্চলে ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও দুই লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ সম্ভব হলে বছরে ৩-৪ লাখ টন সরিষা উৎপাদন করা যাবে। এতে দেশীয় ভোজ্যতেলের ঘাটতি কমে যাবে এবং প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার আমদানি ব্যয় সাশ্রয় হবে।
সরিষা উৎপাদনের এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে উন্নত বীজ, আধুনিক কৌশল ও কৃষক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি ফসল সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।