লেস্টারে ইতিহাস গড়া দাওয়াতি সম্মেলন, শুরু হলো নতুন দাওয়াতি যুগ

- আপডেট সময় ০১:৫৯:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
- / 13
যুক্তরাজ্যের লেস্টার শহরে ২৬ জুলাই শনিবার অনুষ্ঠিত হলো এক ঐতিহাসিক দাওয়াতি সম্মেলন। ইসলামিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (iERA) আয়োজিত এই সম্মেলনটি ছিল ব্রিটেনে এ ধরণের প্রথম এবং বৃহৎ পরিসরে আয়োজিত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাওয়াতি আয়োজন। এতে যুক্তরাজ্যের ১০০টিরও বেশি ইসলামি সংস্থা, মসজিদ ও দাওয়াতকেন্দ্র অংশ নেয়।
সম্মেলনে শত শত ইমাম, ইসলাম প্রচারক ও দাঈ অংশগ্রহণ করেন। তারা অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের বার্তা পৌঁছানোর কৌশল, চ্যালেঞ্জ এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন। আয়োজকদের মতে, এই সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মুসলিমদের মাঝে দাওয়াতি সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা গড়ে তোলা এবং যুক্তরাজ্য প্রেক্ষাপটে একটি কার্যকর ও সমন্বিত দাওয়াতি রোডম্যাপ তৈরি করা।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ছিল ৪০টিরও বেশি দাওয়াত ও জ্ঞানভিত্তিক সেশন, ওয়ার্কশপ এবং সামাজিক কার্যক্রম। অংশগ্রহণকারীরা দাওয়াতি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নতুন মুসলিমদের সহায়তা, জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে সম্পৃক্ততা এবং বাস্তব জীবনে দাওয়াত বাস্তবায়ন নিয়ে দিকনির্দেশনা পান।
iERA-এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ সদস্য থাকিব স্টার বলেন, “দাওয়াত একটি সম্মিলিত প্রয়াস। মসজিদ, ইসলামি সংস্থা এবং কমিউনিটির মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়ই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে। এটি শুধু একটি সম্মেলন নয়, বরং এক নতুন দাওয়াতি আন্দোলনের সূচনা।”
সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন দাওয়াতি অঙ্গনের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা—আদনান রাশিদ, ইউসুফ চেম্বারস, হামজা জোর্জিস ও iERA-এর প্রধান নির্বাহী সাবুর আহমদ।
iERA-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রবীণ দাঈ শাইখ আব্দুর রহীম গ্রিন বলেন, “দাওয়াত নবুয়তের দায়িত্বের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আন্তরিকতা ও সরাসরি আলাপের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব।” বিশিষ্ট দাঈ ইউসুফ চেম্বারস বলেন, “দাওয়াত মানে হলো মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করার চেষ্টা। এটি ভালোবাসা ও দয়ার আহ্বান।”
আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের মতে, এই সম্মেলন ব্রিটেনে এক নতুন দাওয়াতি যুগের সূচনা করেছে, যা ভবিষ্যতের দাঈদের জন্য দিকনির্দেশনামূলক ভূমিকা রাখবে এবং ইসলামের বার্তা শান্তি ও যুক্তির আলোকে অমুসলিমদের মাঝে পৌঁছে দেবে।