ঢাকা ০২:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরান খুব খারাপ সংকেত দিচ্ছে : ট্রাম্প শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণ হবে আগামী ৩ আগস্ট : তাজুল ইসলাম জুলাই হত্যাকান্ডে জড়িতরা পালালো কিভাবে: পরিবেশ উপদেষ্টা আগস্টে শুল্ক কার্যকর, চুক্তি হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের নৈরাজ্যের আশঙ্কা স্পেশাল ব্রাঞ্চের,‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি পাকিস্তান জড়িত না পেহেলগাম হামলায় : পি চিদাম্বরম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডিজিটাল প্রচারণার অপব্যবহার রোধে ইসিতে প্রস্তাব মেঘনার বাঁধে ধস: আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি ঢাকনাবিহীন ম্যানহোলে পড়ে নিখোঁজ, ৩৬ ঘন্টা পর নারীর মরদেহ উদ্ধার “চাঁদাবাজদের অভয়াশ্রম হবে না এনসিপি”— ময়মনসিংহে হুঁশিয়ারি হাসনাত আবদুল্লাহর

ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
  • / 23

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যান মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এর মধ্যস্ততায় অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড। কিন্তু সীমান্তে উভয় দেশের সেনাদের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত ৩৩ জনের মধ্যে ১৩ জন কম্বোডিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বেসামরিক এবং ৫ জন সেনাবাহিনীর সদস্য। এছাড়া থাই সেনাবাহিনীর গুলি ও গোলার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৭১ জন কম্বোডীয়। অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হলেও শনিবার রাতেও গোলাগুলিতে জড়িয়ে উভয় দেশেরে সেনারা।

স্কটল্যান্ডে ব্যক্তিগত সফরের ফাঁকে ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তির জন্য চাপ দিয়েছেন।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, দুই দেশ দ্রুত বৈঠক করে যুদ্ধবিরতি ও চূড়ান্ত শান্তির পথে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। কম্বোডিয়া তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ বহু সেনা ও বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে যুদ্ধবিরতির নীতিগত সমর্থন দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা দেখতে হবে, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান আসতে হবে। তবে দুই দেশের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরও শনিবার রাতভর সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে।

এই সংঘাতের মধ্যেই যদি আগে থেকেই সমঝোতা না হয় তাহলে আগামী ১ আগস্ট থেকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৬ ভাগ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য আলোচনার সুযোগ নেই। মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড ও কম্বোয়িাকে সংঘাত পরিহার করে সংলাপ ও কূটনীতির ভিত্তিতে নিজেদের বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তার আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে উভয় দেশ। কিন্তু তারপরও সংঘাত থামছে না।

 

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্প ও ইব্রাহিমের প্রস্তাবে সম্মত হলেও কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে মৃত্যু থামছে না

আপডেট সময় ০১:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যান মালেশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম এর মধ্যস্ততায় অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হয় কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড। কিন্তু সীমান্তে উভয় দেশের সেনাদের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার ভোরে শুরু হওয়া সংঘাতে এ পর্যন্ত নিহত ৩৩ জনের মধ্যে ১৩ জন কম্বোডিয়ার নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এই ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন বেসামরিক এবং ৫ জন সেনাবাহিনীর সদস্য। এছাড়া থাই সেনাবাহিনীর গুলি ও গোলার আঘাতে আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৭১ জন কম্বোডীয়। অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হলেও শনিবার রাতেও গোলাগুলিতে জড়িয়ে উভয় দেশেরে সেনারা।

স্কটল্যান্ডে ব্যক্তিগত সফরের ফাঁকে ট্রাম্প দাবি করেন, দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি ও শান্তির জন্য চাপ দিয়েছেন।
ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, দুই দেশ দ্রুত বৈঠক করে যুদ্ধবিরতি ও চূড়ান্ত শান্তির পথে এগিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। কম্বোডিয়া তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত জানান, ট্রাম্পের হস্তক্ষেপ বহু সেনা ও বেসামরিক মানুষের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইও ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে যুদ্ধবিরতির নীতিগত সমর্থন দিয়েছেন। তবে তিনি বলেন, কম্বোডিয়ার আন্তরিকতা দেখতে হবে, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান আসতে হবে। তবে দুই দেশের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়ার পরও শনিবার রাতভর সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে।

এই সংঘাতের মধ্যেই যদি আগে থেকেই সমঝোতা না হয় তাহলে আগামী ১ আগস্ট থেকে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৩৬ ভাগ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বাণিজ্য আলোচনার সুযোগ নেই। মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের চেয়ারম্যান আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড ও কম্বোয়িাকে সংঘাত পরিহার করে সংলাপ ও কূটনীতির ভিত্তিতে নিজেদের বিরোধ মিটিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তার আহ্বানের প্রতি সমর্থন জানিয়েছে উভয় দেশ। কিন্তু তারপরও সংঘাত থামছে না।