ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় দুই ট্রলারসহ ৩৪ জেলে আটক শুধু বাহক নয়, মাদকের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরমাণু সংস্থার পরিদর্শকদের জুতার ভেতরে গুপ্তচর চিপ! দাবি ইরানের। ইউক্রেনে সেনা খসড়ায় স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি: ১৭-২৫ বছরের তরুণদের জন্য পালানোর আর পথ নেই। রাশিয়ার “মেগা-অফেনসিভ” পরিকল্পনা, সঙ্গে থাকছে ৩০,০০০ উত্তর কোরিয়ান সেনা অপরাধ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশমন্ত্রী বরখাস্ত আমাদের উজানের দেশ, তথ্য না দিলে বন্যার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন: পরিবেশ উপদেষ্টা সর্দি কাশি নিরাময়ে লবঙ্গের ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নিয়ে অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা

হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
  • / 0

ছবি সংগৃহীত

 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার স্ত্রীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একইসঙ্গে হানিফের দুই ছেলে ও এক কন্যার বিরুদ্ধে সম্পদের উৎস নিরূপণে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মো. মাহবুবুল আলম হানিফের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ৩১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৮৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায়ও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, হানিফ ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলম একে অপরের সহায়তায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে, ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৩৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৬০৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া, হানিফের দুই ছেলে ফাহিম আফসার আলম ও ফারহান সাদিক আলম এবং কন্যা তানিশা আলমের সম্পদের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদের উৎস যাচাই করা হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

হানিফ ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতির মামলা, সম্পদ বিবরণী চেয়ে আইনি নোটিশ

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

 

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুল আলম হানিফ ও তার স্ত্রীর নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

একইসঙ্গে হানিফের দুই ছেলে ও এক কন্যার বিরুদ্ধে সম্পদের উৎস নিরূপণে সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, মো. মাহবুবুল আলম হানিফের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ৯ হাজার ৩১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া ১৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৮৬৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায়ও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক আরও জানান, হানিফ ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া আলম একে অপরের সহায়তায় ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে, ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ৩৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৬০৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ও ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়া, হানিফের দুই ছেলে ফাহিম আফসার আলম ও ফারহান সাদিক আলম এবং কন্যা তানিশা আলমের সম্পদের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য তথ্য চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারায় সম্পদ বিবরণী নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পদের উৎস যাচাই করা হবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।