ঢাকা ০৯:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের মৎস্য খাত, যুব উন্নয়ন, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা আরও জোরদারে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জাপানে বাংলাদেশি তরুণদের শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের অনুরোধও জানান।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাটসুরার সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “জাপান সবসময় বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বন্ধু। সম্প্রতি আমি জাপান সফর করেছি এবং যে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা পেয়েছি, তা আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছে।”

জবাবে মিয়াজাকি কাটসুরা জানান, “বাংলাদেশ এশিয়ায় জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।” তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জুলাই মাসে (গণ-অভ্যুত্থানে) নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।

বৈঠকে মাতারবাড়ী প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার এবং সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে। তিনি জানান, “জাইকা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাপানে বৈঠকে আমি বলেছি, আমরা সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হতে চাই।”

বাংলাদেশি তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু ভাষা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, জাপানি ভাষা ও কর্মক্ষেত্রের আচরণ শেখানোর জন্য জাপানি শিক্ষকরা বাংলাদেশে আসতে পারেন অথবা অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।”

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দুঃখজনকভাবে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তরুণ কোনো আশা ছাড়া শিবিরে বেড়ে উঠছে। এভাবে তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছে, যা ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে।”

বৈঠকে উভয়পক্ষই বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে সম্মত হন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান

আপডেট সময় ০৮:৩০:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের মৎস্য খাত, যুব উন্নয়ন, শিক্ষা, খেলাধুলা এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানবিক সহায়তা আরও জোরদারে জাপানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জাপানে বাংলাদেশি তরুণদের শিক্ষাবৃত্তি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণের অনুরোধও জানান।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়াজাকি কাটসুরার সঙ্গে বৈঠককালে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠকে ড. ইউনূস বলেন, “জাপান সবসময় বাংলাদেশের নির্ভরযোগ্য বন্ধু। সম্প্রতি আমি জাপান সফর করেছি এবং যে আন্তরিকতা ও আতিথেয়তা পেয়েছি, তা আমাকে গভীরভাবে মুগ্ধ করেছে।”

জবাবে মিয়াজাকি কাটসুরা জানান, “বাংলাদেশ এশিয়ায় জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।” তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং জুলাই মাসে (গণ-অভ্যুত্থানে) নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন।

বৈঠকে মাতারবাড়ী প্রকল্পের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, এই প্রকল্প বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে সামুদ্রিক সম্পদের ব্যবহার এবং সম্ভাবনা কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে। তিনি জানান, “জাইকা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে জাপানে বৈঠকে আমি বলেছি, আমরা সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হতে চাই।”

বাংলাদেশি তরুণদের কর্মসংস্থানের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অনেক তরুণ জাপানে কাজ করতে আগ্রহী। কিন্তু ভাষা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, জাপানি ভাষা ও কর্মক্ষেত্রের আচরণ শেখানোর জন্য জাপানি শিক্ষকরা বাংলাদেশে আসতে পারেন অথবা অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে।”

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রসঙ্গেও উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দুঃখজনকভাবে হাজার হাজার রোহিঙ্গা তরুণ কোনো আশা ছাড়া শিবিরে বেড়ে উঠছে। এভাবে তারা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছে, যা ভবিষ্যতে বিপদ ডেকে আনতে পারে।”

বৈঠকে উভয়পক্ষই বাংলাদেশ-জাপান অংশীদারিত্বকে আরও সুদৃঢ় করতে সম্মত হন এবং পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।