ঢাকা ০৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাপানের সহায়তা ও বিনিয়োগে জোর দিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বান সংস্কার সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি, দ্রুত নির্বাচনের আশা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশে খাদ্য মজুদ বেড়েছে: প্রেস উইং সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১,৪৪৩ যুক্তরাজ্যে প্যালেস্টাইন অ্যাকশনকে সন্ত্রাসী ঘোষণা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বিচার ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে: জামায়াতে নায়েবে আমির তিন দফা দাবিতে উত্তাল রুয়েট নওগাঁর পোরশা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত নতুন নির্দেশনা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক, থাকছে ঋণ গ্রহীতাদের জন্য সুখবর সুনামগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

ডেঙ্গু পরীক্ষার স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার কিট প্রদান করলো চীন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫
  • / 2

ছবি সংগৃহীত

 

 

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ৪৪ জনে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে দেশের ৬২টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।

এমন অবস্থায় অনেক এলাকায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিটসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ ১৯ হাজার সেট কিট সরবরাহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কিটগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা ড. লিউ ইউয়িন।

অনুষ্ঠানে ড. লিউ ইউয়িন বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর রেডজোন চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা এবং মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীনের দেয়া কিটগুলো দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দ্রুত বিতরণ করা হবে, যাতে ডেঙ্গু রোগীদের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রম আরও দ্রুতগতিতে পরিচালনা করা যায়।

ডা. সায়েদুর রহমান সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে জটিলতা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব।”

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেঙ্গু পরীক্ষার স্বাস্থ্য অধিদফতরকে ১৯ হাজার কিট প্রদান করলো চীন

আপডেট সময় ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫

 

 

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ৪৪ জনে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যে দেশের ৬২টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ।

এমন অবস্থায় অনেক এলাকায় ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিটসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চীন সরকারের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ ১৯ হাজার সেট কিট সরবরাহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই কিটগুলো স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কর্মকর্তা ড. লিউ ইউয়িন।

অনুষ্ঠানে ড. লিউ ইউয়িন বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে এই সহায়তা দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।”

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। যেসব এলাকায় ডেঙ্গুর রেডজোন চিহ্নিত হয়েছে, সেসব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দেয়া নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের পাশাপাশি জনসচেতনতার ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা এবং মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীনের দেয়া কিটগুলো দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে দ্রুত বিতরণ করা হবে, যাতে ডেঙ্গু রোগীদের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা কার্যক্রম আরও দ্রুতগতিতে পরিচালনা করা যায়।

ডা. সায়েদুর রহমান সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করা গেলে জটিলতা অনেকাংশে এড়ানো সম্ভব।”

ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।