খেলা হবে-সিন্ডিকেট

- আপডেট সময় ০৩:৩৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / 4
‘খেলা হবে’ এক সময়ের জনপ্রিয় রাজনৈতিক স্লোগান। কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই স্লোগানকে রূপ দিয়েছেন একটি প্রভাবশালী দুর্নীতির সিন্ডিকেটের সাংকেতিক নাম হিসেবে।
সড়ক ও সেতু নির্মাণে কমিশন বাণিজ্য, পছন্দের ঠিকাদারকে কোটি কোটি টাকার কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষ করেছে। শুরু হয়েছে বিস্তারিত তদন্ত।
অভিযোগে বলা হয়েছে, মন্ত্রী থাকাকালে কাদের তার স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কাদের, ভাই কাদের মির্জা, সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী ও একরামুল করিম চৌধুরীকে নিয়ে গড়ে তোলেন এক সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সওজ-এর কাজ বণ্টন হয় ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে—কমিশনের বিনিময়ে।
নির্বাচনি হলফনামায় ওবায়দুল কাদের ও তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ গত ১৬ বছরে বেড়েছে যথাক্রমে ৬ গুণ ও ১৩ গুণ।
তবে অনুসন্ধান বলছে, কাগজে-কলমের চেয়েও তাদের প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে তাদের নামে বা বেনামে রয়েছে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
বিআরটির বাস ক্রয় প্রক্রিয়া একাধিকবার স্থগিত হয়, দাবি করা হয় “প্রক্রিয়াগত জটিলতা”। বাস্তবে মন্ত্রীর পছন্দের প্রতিষ্ঠান কাজ না পাওয়ায় প্রকল্প থমকে যায়। এতে জনগণের শত কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে।
২০২৪ সালের ১৪ অক্টোবর আইনজীবী সুলতান মাহমুদ দুদকে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ ধারায় মামলা করার মতো যথেষ্ট প্রাথমিক তথ্য মিলেছে।
এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “শুধু কাদের নন, তার স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”