ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় মানবিক বিপর্যয়: হামলায় ৮৩ নিহত, দুর্ভিক্ষে মৃত্যু বাড়ছে বাড়ি ফেরা হলো না, প্রবাসীকে আনতে গিয়ে সড়কে ঝরলো ৭ প্রাণ জাতীয় নির্বাচন ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেন পরিকল্পিতভাবে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়: দাবি রুশ গোয়েন্দা সংস্থার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে তিনদিনব্যাপী আয়োজন ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়িতে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১ ৫ আগস্ট ইতিহাস কথা বলে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আগামীর বাংলাদেশ রুপরেখা : ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ

দেশে একদিনে করোনায় ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
  • / 58

ছবি সংগৃহীত

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ জনে। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৬ জনে।

এর আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার (১৬ জুন) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫ জন এবং মারা গিয়েছিলেন একজন।

করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সংক্রমণ পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর, ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজন রোগীর মৃত্যু হয়।

দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মাঝে মাঝে কিছু এলাকায় হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সচেতনতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা, হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজন হলে মাস্ক পরিধানের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানালেও, সংক্রমণের হার হঠাৎ বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। এজন্য স্বাস্থ্যসচেতন আচরণ এবং নজরদারি বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ এই তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকলেও তা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। ফলে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বজায় রাখা এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে একদিনে করোনায় ২ মৃত্যু, শনাক্ত ১৮

আপডেট সময় ১০:০০:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

 

সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ জন। মঙ্গলবার (১৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৭৬ জনে। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০৬ জনে।

এর আগের দিন, অর্থাৎ সোমবার (১৬ জুন) করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৫ জন এবং মারা গিয়েছিলেন একজন।

করোনার শুরু থেকে এ পর্যন্ত সংক্রমণ পরিস্থিতির তথ্য তুলে ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর, ১৮ মার্চ দেশে করোনায় প্রথম একজন রোগীর মৃত্যু হয়।

দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মাঝে মাঝে কিছু এলাকায় হঠাৎ সংক্রমণ বাড়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সচেতনতা বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সবাইকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা, হাত ধোয়া, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজন হলে মাস্ক পরিধানের আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জন্য সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানালেও, সংক্রমণের হার হঠাৎ বাড়তে পারে—এমন আশঙ্কা এখনও পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। এজন্য স্বাস্থ্যসচেতন আচরণ এবং নজরদারি বজায় রাখার ওপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সর্বশেষ এই তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকলেও তা পুরোপুরি নির্মূল হয়নি। ফলে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বজায় রাখা এখনো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।