০১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

শেখ হাসিনাসহ দুই সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের সমন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / 70

ছবি সংগৃহীত

 

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) গণমাধ্যমের হাতে পৌঁছায় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি। এতে বলা হয়, আসামিরা নির্ধারিত দিনে হাজির না হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ১০(এ) ধারা অনুযায়ী অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। যদিও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, কিন্তু তারা পলাতক কিংবা আত্মগোপনে রয়েছেন।

এর আগে ১৬ জুন (সোমবার) মামলার শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৪ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন এবং দুই আসামিকে হাজির করতে জাতীয় দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। একই দিনে মামলার অপর আসামি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে, যা ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। অভিযুক্ত বাকি দুজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন।

এর আগে ১২ মে তদন্ত সংস্থা জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই মামলার তদন্ত শেষ করতে ট্রাইব্যুনাল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যার নির্দেশদাতা এবং পরিকল্পনাকারী হিসেবে শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। এই মামলায় আরও উল্লেখযোগ্য অভিযুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

শেখ হাসিনাসহ দুই সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের সমন, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি জারি

আপডেট সময় ১১:২৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

 

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) গণমাধ্যমের হাতে পৌঁছায় ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সেই বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি। এতে বলা হয়, আসামিরা নির্ধারিত দিনে হাজির না হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের ১০(এ) ধারা অনুযায়ী অনুপস্থিতিতেই বিচার সম্পন্ন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল। যদিও তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, কিন্তু তারা পলাতক কিংবা আত্মগোপনে রয়েছেন।

এর আগে ১৬ জুন (সোমবার) মামলার শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৪ জুন পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেন এবং দুই আসামিকে হাজির করতে জাতীয় দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন। একই দিনে মামলার অপর আসামি, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।

এই মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আমলে নেয়া হয়েছে, যা ১ জুন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। অভিযুক্ত বাকি দুজন হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী মামুন।

এর আগে ১২ মে তদন্ত সংস্থা জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই প্রতিবেদনে শেখ হাসিনাকে হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই মামলার তদন্ত শেষ করতে ট্রাইব্যুনাল ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলি ও হত্যার নির্দেশদাতা এবং পরিকল্পনাকারী হিসেবে শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার চলছে। এই মামলায় আরও উল্লেখযোগ্য অভিযুক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ৪৬ জন।