ঢাকা ০৭:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ঠেকাতে সক্রিয় হবে যুক্তরাষ্ট্র: পল কাপুর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 19

ছবি: সংগৃহীত

 

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে মনোনীত পল কাপুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখে দেওয়া এবং মার্কিন বাণিজ্য সম্প্রসারণই হবে তার প্রধান অগ্রাধিকার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক এক শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

পল কাপুর বলেন, “ভারতের পর দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় অর্থনীতি বাংলাদেশ। এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বেড়ে চলায় নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সক্রিয় হতে হবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা চাই এই অঞ্চলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও মুক্ত বাণিজ্যিক পরিবেশ গড়ে উঠুক, যেখানে বাংলাদেশ মার্কিন অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেবে এবং চীনা প্রভাব সীমিত থাকবে।”

ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এ পদে প্রথম মনোনয়ন পাওয়া পল কাপুরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, ওয়াশিংটনের কাছে বাংলাদেশ কেবল অর্থনৈতিকভাবে নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্ত করতে বাংলাদেশকে ঘিরে নতুন কৌশল নির্ধারণ করতে চায় বাইডেন প্রশাসন।

বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে চীন, বিশেষ করে অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটির দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হচ্ছে। পল কাপুরের মন্তব্যে সেই অভিমুখই স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নানা দিক থেকে সম্প্রসারিত হচ্ছে। নিরাপত্তা, বাণিজ্য, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সহযোগিতার মতো ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কৌশলগত অগ্রাধিকার বাস্তবে কীভাবে প্রতিফলিত হবে এবং বাংলাদেশ কতটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বময় ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে চীনের প্রভাব ঠেকাতে সক্রিয় হবে যুক্তরাষ্ট্র: পল কাপুর

আপডেট সময় ১১:০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি পদে মনোনীত পল কাপুর জানিয়েছেন, বাংলাদেশে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব রুখে দেওয়া এবং মার্কিন বাণিজ্য সম্প্রসারণই হবে তার প্রধান অগ্রাধিকার। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক এক শুনানিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

পল কাপুর বলেন, “ভারতের পর দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বড় অর্থনীতি বাংলাদেশ। এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বেড়ে চলায় নিরাপত্তার দিকটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রকে আরও সক্রিয় হতে হবে।”

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা চাই এই অঞ্চলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ও মুক্ত বাণিজ্যিক পরিবেশ গড়ে উঠুক, যেখানে বাংলাদেশ মার্কিন অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেবে এবং চীনা প্রভাব সীমিত থাকবে।”

ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এ পদে প্রথম মনোনয়ন পাওয়া পল কাপুরের সাম্প্রতিক বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, ওয়াশিংটনের কাছে বাংলাদেশ কেবল অর্থনৈতিকভাবে নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে এই অঞ্চলে চীনের প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্ত করতে বাংলাদেশকে ঘিরে নতুন কৌশল নির্ধারণ করতে চায় বাইডেন প্রশাসন।

বিশ্লেষকদের মতে, দক্ষিণ এশিয়ায় ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে চীন, বিশেষ করে অবকাঠামো ও প্রযুক্তি খাতে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটির দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে মনোযোগী হচ্ছে। পল কাপুরের মন্তব্যে সেই অভিমুখই স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নানা দিক থেকে সম্প্রসারিত হচ্ছে। নিরাপত্তা, বাণিজ্য, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সহযোগিতার মতো ক্ষেত্রে দুই দেশের সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকেরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই কৌশলগত অগ্রাধিকার বাস্তবে কীভাবে প্রতিফলিত হবে এবং বাংলাদেশ কতটা ভারসাম্য বজায় রাখতে পারবে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্বময় ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।