ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার

সিলেটে টিলা ধসে এক পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৪২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫
  • / 59

ছবি সংগৃহীত

 

 

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় টিলা ধসে মাটিচাপায় একই পরিবারের চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার ৭ নম্বর লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখ্তিয়ার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে পরিচিত হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তি। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান।

চেয়ারম্যান খলকুর রহমান জানান, “রাত দুইটার দিকে আকস্মিক টিলা ধসের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আমরা দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেই। তবে বৈরী আবহাওয়া ও দুর্যোগপূর্ণ সড়ক পরিস্থিতির কারণে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্ব হয়।”

তিনি আরও বলেন, “গোলাপগঞ্জের রাখালগঞ্জ এলাকায় ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতে রাস্তার উপর বিশাল গাছ পড়ে যায়। এতে মূল সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ঢাকাদক্ষিণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের দল বাধার সম্মুখীন হয় এবং ভোর ৬টার পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।”

স্থানীয়দের সহায়তায় সকাল ৭টার দিকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল।

চেয়ারম্যান জানান, “আমরা রাতেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিলাম। প্রথম ধসের পর কিছু মানুষকে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় টিলা আবার ভেঙে পড়ে এবং আরও মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। তখন উদ্ধার কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে সবাইকে সরিয়ে নিই।”

তিনি জানান, “প্রতিবেশী আরেকজনের বাড়ির দিকেও আরেকটি টিলা ধসে পড়ছে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে আনি। এরপর থেকেই আমরা ফায়ার সার্ভিসের অপেক্ষায় ছিলাম।”

এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে টিলা ধসের ঝুঁকি ছিল, তবে এবার তা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দ্রুত পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

সিলেটে টিলা ধসে এক পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ১০:৪২:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ জুন ২০২৫

 

 

সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় টিলা ধসে মাটিচাপায় একই পরিবারের চারজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার ৭ নম্বর লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখ্তিয়ার ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে পরিচিত হয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন নামের একজন ব্যক্তি। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান।

চেয়ারম্যান খলকুর রহমান জানান, “রাত দুইটার দিকে আকস্মিক টিলা ধসের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। আমরা দ্রুত ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দেই। তবে বৈরী আবহাওয়া ও দুর্যোগপূর্ণ সড়ক পরিস্থিতির কারণে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে প্রায় চার ঘণ্টা বিলম্ব হয়।”

তিনি আরও বলেন, “গোলাপগঞ্জের রাখালগঞ্জ এলাকায় ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতে রাস্তার উপর বিশাল গাছ পড়ে যায়। এতে মূল সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ঢাকাদক্ষিণ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের দল বাধার সম্মুখীন হয় এবং ভোর ৬টার পর তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সক্ষম হয়।”

স্থানীয়দের সহায়তায় সকাল ৭টার দিকে চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি দল।

চেয়ারম্যান জানান, “আমরা রাতেই উদ্ধার কাজ শুরু করেছিলাম। প্রথম ধসের পর কিছু মানুষকে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় টিলা আবার ভেঙে পড়ে এবং আরও মানুষ মাটির নিচে চাপা পড়ে যায়। তখন উদ্ধার কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে সবাইকে সরিয়ে নিই।”

তিনি জানান, “প্রতিবেশী আরেকজনের বাড়ির দিকেও আরেকটি টিলা ধসে পড়ছে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমি স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে তাদের বাড়ি থেকে মানুষ ও গবাদিপশু সরিয়ে আনি। এরপর থেকেই আমরা ফায়ার সার্ভিসের অপেক্ষায় ছিলাম।”

এই ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে টিলা ধসের ঝুঁকি ছিল, তবে এবার তা প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা দ্রুত পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।