ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরা ট্র্যাজেডি: বিমান বিধ্বস্তে ২৫ শিশুসহ ২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো ভারতীয় আগরবাতি আমদানি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চেয়েছিলেন ক্যাপ্টেন তৌকির, লড়েছেন শেষ পর্যন্ত উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা

দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তির বড় চক্র ভেঙে দিল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 37

ছবি: সংগৃহীত

 

দুবাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি সুপরিকল্পিত ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তারা সবাই পর্যটন ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করে রাজধানী দুবাইয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছিল। এই হোটেলটিকে তারা ভিক্ষাবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল।

‘আল-মিসবাহ’ নামের একটি বিশেষ অভিযানে দুবাই পুলিশের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের অধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব সাসপেক্টস অ্যান্ড ক্রিমিনাল ফিনোমেনা’ এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। অভিযানে ধৃতদের কাছ থেকে ৬০ হাজার দিরহামেরও বেশি নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানের সূত্রপাত ঘটে এক সজাগ নাগরিকের ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি জরুরি নাম্বার ৯০১-এ কল করে জানান, কয়েকজন ব্যক্তি তাসবিহ ও প্রার্থনার সামগ্রী বিক্রির ছলে মানুষের কাছে টাকা চাইছে। তথ্য পাওয়ার পর মনিটরিং ও অ্যানালাইসিস সেকশন সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজন আরব নাগরিককে হাতেনাতে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি বৃহৎ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আরও ২৮ জনকে আটক করে। পরদিন হোটেল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়ে আরও ১০ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সবাই একটি সংঘবদ্ধ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সদস্য এবং তারা এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল।

ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুবাই পুলিশ জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছে, ধর্মীয় উৎসব কিংবা ছুটির দিনগুলোতে কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য নানা প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বন করে। এমন কর্মকাণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, এ ধরনের সন্দেহজনক তৎপরতা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯০১ নম্বরে যোগাযোগ করে সহায়তা করতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তির বড় চক্র ভেঙে দিল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪১

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

দুবাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি সুপরিকল্পিত ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তারা সবাই পর্যটন ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করে রাজধানী দুবাইয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছিল। এই হোটেলটিকে তারা ভিক্ষাবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল।

‘আল-মিসবাহ’ নামের একটি বিশেষ অভিযানে দুবাই পুলিশের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের অধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব সাসপেক্টস অ্যান্ড ক্রিমিনাল ফিনোমেনা’ এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। অভিযানে ধৃতদের কাছ থেকে ৬০ হাজার দিরহামেরও বেশি নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

অভিযানের সূত্রপাত ঘটে এক সজাগ নাগরিকের ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি জরুরি নাম্বার ৯০১-এ কল করে জানান, কয়েকজন ব্যক্তি তাসবিহ ও প্রার্থনার সামগ্রী বিক্রির ছলে মানুষের কাছে টাকা চাইছে। তথ্য পাওয়ার পর মনিটরিং ও অ্যানালাইসিস সেকশন সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজন আরব নাগরিককে হাতেনাতে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি বৃহৎ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আরও ২৮ জনকে আটক করে। পরদিন হোটেল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়ে আরও ১০ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সবাই একটি সংঘবদ্ধ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সদস্য এবং তারা এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল।

ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুবাই পুলিশ জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছে, ধর্মীয় উৎসব কিংবা ছুটির দিনগুলোতে কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য নানা প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বন করে। এমন কর্মকাণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, এ ধরনের সন্দেহজনক তৎপরতা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯০১ নম্বরে যোগাযোগ করে সহায়তা করতে।