০৪:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
শিশু সাজিদের মৃত্যু: ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ মানুষকে ভয় দেখাতেই এসব হামলা: রিজওয়ানা আটকের পর যা বললেন গুলিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান

দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তির বড় চক্র ভেঙে দিল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪১

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 111

ছবি: সংগৃহীত

 

দুবাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি সুপরিকল্পিত ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তারা সবাই পর্যটন ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করে রাজধানী দুবাইয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছিল। এই হোটেলটিকে তারা ভিক্ষাবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল।

‘আল-মিসবাহ’ নামের একটি বিশেষ অভিযানে দুবাই পুলিশের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের অধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব সাসপেক্টস অ্যান্ড ক্রিমিনাল ফিনোমেনা’ এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। অভিযানে ধৃতদের কাছ থেকে ৬০ হাজার দিরহামেরও বেশি নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযানের সূত্রপাত ঘটে এক সজাগ নাগরিকের ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি জরুরি নাম্বার ৯০১-এ কল করে জানান, কয়েকজন ব্যক্তি তাসবিহ ও প্রার্থনার সামগ্রী বিক্রির ছলে মানুষের কাছে টাকা চাইছে। তথ্য পাওয়ার পর মনিটরিং ও অ্যানালাইসিস সেকশন সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজন আরব নাগরিককে হাতেনাতে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি বৃহৎ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আরও ২৮ জনকে আটক করে। পরদিন হোটেল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়ে আরও ১০ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সবাই একটি সংঘবদ্ধ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সদস্য এবং তারা এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল।

ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুবাই পুলিশ জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছে, ধর্মীয় উৎসব কিংবা ছুটির দিনগুলোতে কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য নানা প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বন করে। এমন কর্মকাণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, এ ধরনের সন্দেহজনক তৎপরতা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯০১ নম্বরে যোগাযোগ করে সহায়তা করতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তির বড় চক্র ভেঙে দিল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪১

আপডেট সময় ০৪:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

দুবাই পুলিশের বিশেষ অভিযানে একটি সুপরিকল্পিত ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তারা সবাই পর্যটন ভিসায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করে রাজধানী দুবাইয়ের একটি হোটেলে অবস্থান করছিল। এই হোটেলটিকে তারা ভিক্ষাবৃত্তির কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করছিল।

‘আল-মিসবাহ’ নামের একটি বিশেষ অভিযানে দুবাই পুলিশের জেনারেল ডিপার্টমেন্ট অব ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশনের অধীন ‘ডিপার্টমেন্ট অব সাসপেক্টস অ্যান্ড ক্রিমিনাল ফিনোমেনা’ এই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। অভিযানে ধৃতদের কাছ থেকে ৬০ হাজার দিরহামেরও বেশি নগদ অর্থ জব্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অভিযানের সূত্রপাত ঘটে এক সজাগ নাগরিকের ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি জরুরি নাম্বার ৯০১-এ কল করে জানান, কয়েকজন ব্যক্তি তাসবিহ ও প্রার্থনার সামগ্রী বিক্রির ছলে মানুষের কাছে টাকা চাইছে। তথ্য পাওয়ার পর মনিটরিং ও অ্যানালাইসিস সেকশন সন্দেহভাজনদের উপর নজরদারি শুরু করে। একপর্যায়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজন আরব নাগরিককে হাতেনাতে আটক করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা একটি বৃহৎ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে পুলিশ হোটেল কর্তৃপক্ষের সহায়তায় আরও ২৮ জনকে আটক করে। পরদিন হোটেল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় ধরা পড়ে আরও ১০ জন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সবাই একটি সংঘবদ্ধ ভিক্ষাবৃত্তি চক্রের সদস্য এবং তারা এ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিল।

ধৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

দুবাই পুলিশ জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেছে, ধর্মীয় উৎসব কিংবা ছুটির দিনগুলোতে কিছু অসাধু ব্যক্তি মানুষের সহানুভূতি আদায়ের জন্য নানা প্রতারণামূলক কৌশল অবলম্বন করে। এমন কর্মকাণ্ড সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।

পুলিশ জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে, এ ধরনের সন্দেহজনক তৎপরতা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে ৯০১ নম্বরে যোগাযোগ করে সহায়তা করতে।