ঢাকা ০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিসিবিতে কাজ করার মতো পরিবেশই ছিল না গত কয়েক মাসে: ফাহিমের বিস্ফোরক মন্তব্য ট্রাম্পের শুল্ক নীতিতে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি, ক্ষতির মুখে বিশ্ব অর্থনীতি গাজায় প্রতি ২০ মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছে বা আহত হচ্ছে একটি শিশু: জাতিসংঘের ভয়াবহ তথ্য দুবাইয়ে ভিক্ষাবৃত্তির বড় চক্র ভেঙে দিল পুলিশ, গ্রেপ্তার ৪১ চীনের যুগান্তকারী আবিষ্কার: নকলের ভেতর থেকে আসল পারমাণবিক বোমা চিনে ফেলবে AI টেকনাফে নেচার পার্কের পুকুরে বস্তাবন্দি গ্রেনেড, গুলি ও মদ উদ্ধার বিএনপিকে যমুনায় আলোচনায় বসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার মিরপুরে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের থাকা প্রশ্নবিদ্ধ: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে ক্ষমতার মোহ ছাড়তে হবে তরুণদের: পরিবেশ উপদেষ্টা

সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রভাব: দুই দিনে ৭০ জনের মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি: সংগৃহীত

 

সুদানের রাজধানী খার্তুমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কলেরা মহামারিতে মাত্র দুই দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জরুরি সেবার অভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে খার্তুম রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রতিদিন নতুন করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, বুধবার একদিনেই ৯৪২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। তার আগের দিন মঙ্গলবার আক্রান্ত হন ১ হাজার ১৭৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৪৫ জন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মূলত দায়ী সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা। আরএসএফ (র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস) কর্তৃক পরিচালিত এসব হামলায় শহরের পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সরকারি বাহিনী দাবি করেছে যে তারা খার্তুমের কেন্দ্রীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং আরএসএফ বাহিনীকে শহরের শেষ ঘাঁটি থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। তবে বিগত দুই বছরের গৃহযুদ্ধে বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাসস্থান ও অবকাঠামো।

ফেডারেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত সপ্তাহেই দেশব্যাপী কলেরায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই খার্তুম রাজ্যে। যদিও আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানানো হয়েছে, তবুও যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবেশ ও চিকিৎসা সংকট পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

চলমান সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর সংঘাতে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দশ লক্ষাধিক মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১.৩ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ একে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এই যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে কার্যত চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় কলেরার সংক্রমণ নতুন করে জনজীবনে আতঙ্ক ও দুঃস্বপ্ন ডেকে এনেছে।

সূত্র: এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রভাব: দুই দিনে ৭০ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৪:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

সুদানের রাজধানী খার্তুমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কলেরা মহামারিতে মাত্র দুই দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জরুরি সেবার অভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে খার্তুম রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রতিদিন নতুন করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, বুধবার একদিনেই ৯৪২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। তার আগের দিন মঙ্গলবার আক্রান্ত হন ১ হাজার ১৭৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৪৫ জন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মূলত দায়ী সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা। আরএসএফ (র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস) কর্তৃক পরিচালিত এসব হামলায় শহরের পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সরকারি বাহিনী দাবি করেছে যে তারা খার্তুমের কেন্দ্রীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং আরএসএফ বাহিনীকে শহরের শেষ ঘাঁটি থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। তবে বিগত দুই বছরের গৃহযুদ্ধে বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাসস্থান ও অবকাঠামো।

ফেডারেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত সপ্তাহেই দেশব্যাপী কলেরায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই খার্তুম রাজ্যে। যদিও আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানানো হয়েছে, তবুও যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবেশ ও চিকিৎসা সংকট পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

চলমান সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর সংঘাতে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দশ লক্ষাধিক মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১.৩ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ একে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এই যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে কার্যত চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় কলেরার সংক্রমণ নতুন করে জনজীবনে আতঙ্ক ও দুঃস্বপ্ন ডেকে এনেছে।

সূত্র: এএফপি