ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
উত্তরায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত: হতাহতের খবর এখনও মেলেনি ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন: অভিবাসন বিষয়ক বৈঠক হবে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ফার্মগেট স্টেশনে মেট্রোরেল আটকে যাওয়ার পর ফের চালু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় ইবি প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলন, তদন্তে শিক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তির আশ্বাস ইকুয়েডরে ভয়াবহ সংঘর্ষ: পিকআপ ট্রাক ও এসইউভিতে নিহত ৯ ৪৮তম বিশেষ বিসিএস: ৫২০৬ জন উত্তীর্ণ ইসরায়েলি সেনার গুলিতে নিহত ৬৭ ফিলিস্তিনি: ত্রাণ নিতে আসার সময় ঘটে এ ঘটনা গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু

সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রভাব: দুই দিনে ৭০ জনের মৃত্যু

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
  • / 22

ছবি: সংগৃহীত

 

সুদানের রাজধানী খার্তুমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কলেরা মহামারিতে মাত্র দুই দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জরুরি সেবার অভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে খার্তুম রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রতিদিন নতুন করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, বুধবার একদিনেই ৯৪২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। তার আগের দিন মঙ্গলবার আক্রান্ত হন ১ হাজার ১৭৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৪৫ জন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মূলত দায়ী সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা। আরএসএফ (র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস) কর্তৃক পরিচালিত এসব হামলায় শহরের পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সরকারি বাহিনী দাবি করেছে যে তারা খার্তুমের কেন্দ্রীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং আরএসএফ বাহিনীকে শহরের শেষ ঘাঁটি থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। তবে বিগত দুই বছরের গৃহযুদ্ধে বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাসস্থান ও অবকাঠামো।

ফেডারেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত সপ্তাহেই দেশব্যাপী কলেরায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই খার্তুম রাজ্যে। যদিও আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানানো হয়েছে, তবুও যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবেশ ও চিকিৎসা সংকট পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

চলমান সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর সংঘাতে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দশ লক্ষাধিক মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১.৩ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ একে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এই যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে কার্যত চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় কলেরার সংক্রমণ নতুন করে জনজীবনে আতঙ্ক ও দুঃস্বপ্ন ডেকে এনেছে।

সূত্র: এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

সুদানে কলেরার ভয়াবহ প্রভাব: দুই দিনে ৭০ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৪:০৫:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫

 

সুদানের রাজধানী খার্তুমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া কলেরা মহামারিতে মাত্র দুই দিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের। ভেঙে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং জরুরি সেবার অভাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে খার্তুম রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

প্রতিদিন নতুন করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্যমতে, বুধবার একদিনেই ৯৪২ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। তার আগের দিন মঙ্গলবার আক্রান্ত হন ১ হাজার ১৭৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেন ৪৫ জন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই হঠাৎ সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মূলত দায়ী সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা। আরএসএফ (র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস) কর্তৃক পরিচালিত এসব হামলায় শহরের পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যায়, যার ফলে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এদিকে, সরকারি বাহিনী দাবি করেছে যে তারা খার্তুমের কেন্দ্রীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং আরএসএফ বাহিনীকে শহরের শেষ ঘাঁটি থেকেও সরিয়ে দিয়েছে। তবে বিগত দুই বছরের গৃহযুদ্ধে বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অসংখ্য বাসস্থান ও অবকাঠামো।

ফেডারেল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত সপ্তাহেই দেশব্যাপী কলেরায় ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ৯০ শতাংশই খার্তুম রাজ্যে। যদিও আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৯ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানানো হয়েছে, তবুও যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবেশ ও চিকিৎসা সংকট পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।

চলমান সেনাবাহিনী ও আরএসএফ-এর সংঘাতে ইতোমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দশ লক্ষাধিক মানুষ এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ১.৩ কোটি মানুষ। জাতিসংঘ একে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ মানবিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এই যুদ্ধকবলিত অঞ্চলে প্রায় ৯০ শতাংশ হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে কার্যত চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় কলেরার সংক্রমণ নতুন করে জনজীবনে আতঙ্ক ও দুঃস্বপ্ন ডেকে এনেছে।

সূত্র: এএফপি