ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

 

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আচালং সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার (২৬ মে) ভোররাতে আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে পাঁচ পরিবারের মোট ১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাদের স্থানীয় আচালং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়।

পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু। তারা নিজেদের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কাজের সন্ধানে তারা ভারতের হরিয়ানায় গিয়েছিলেন বলে জানান।

তারা আরও জানান, হরিয়ানা থেকে বিমানে করে প্রথমে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার করবুকের সীমান্তবর্তী গুলোমনি পাড়ায় নিয়ে গিয়ে বিএসএফ ভোররাতে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম জানান, অনুপ্রবেশকারীরা দাবি করেছে তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। এ দাবির সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (SB) মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে দাবির সত্যতা প্রমাণিত না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করেও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি মে মাসেই খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তিন দফায় মোট ৮৬ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ। এ ধরণের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও মানবাধিকার প্রশ্নে উদ্বেগ বাড়ছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন আচরণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং এতে সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

মাটিরাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করলো বিএসএফ

আপডেট সময় ০৪:৫৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

 

 

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার আচালং সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশি নাগরিকদের পুশ-ইন করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ সোমবার (২৬ মে) ভোররাতে আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে পাঁচ পরিবারের মোট ১৯ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে প্রবেশের পর অনুপ্রবেশকারীদের নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাদের স্থানীয় আচালং ডিপি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়।

পুশ-ইন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৭ জন পুরুষ, ৭ জন নারী ও ৫ জন শিশু। তারা নিজেদের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কাজের সন্ধানে তারা ভারতের হরিয়ানায় গিয়েছিলেন বলে জানান।

তারা আরও জানান, হরিয়ানা থেকে বিমানে করে প্রথমে আগরতলায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে দক্ষিণ ত্রিপুরার করবুকের সীমান্তবর্তী গুলোমনি পাড়ায় নিয়ে গিয়ে বিএসএফ ভোররাতে জোরপূর্বক বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুর আলম জানান, অনুপ্রবেশকারীরা দাবি করেছে তাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়। এ দাবির সত্যতা যাচাইয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (SB) মাধ্যমে পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। পরিচয় নিশ্চিত হলে তাদের নিজ নিজ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে দাবির সত্যতা প্রমাণিত না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বারবার চেষ্টা করেও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, চলতি মে মাসেই খাগড়াছড়ির বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তিন দফায় মোট ৮৬ জন বাংলাদেশিকে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ। এ ধরণের ঘটনায় দুই দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও মানবাধিকার প্রশ্নে উদ্বেগ বাড়ছে।

সীমান্ত নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন আচরণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের পরিপন্থী এবং এতে সীমান্ত এলাকায় অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত কূটনৈতিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।