ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

এলজিইডিতে দুদকের অভিযান, ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 5

ছবি সংগৃহীত

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তৎপর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, বিল উত্তোলনের মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

বুধবার দুদকের একটি দল এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে। দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন তদন্তে নামে। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলার ভূমি অফিসগুলোতেও ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।

যশোরে, মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালায় দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়। নামজারি সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বহিরাগত দিয়ে সরকারি কাজ করানোর অভিযোগ উঠে আসে। এক ভুক্তভোগী জানান, ১৯ হাজার টাকার দাখিলা থাকলেও তাকে ৮০ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। একই কর্মকর্তা আরও চার হাজার টাকা বেশি আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সাধারণ গ্রাহকদের সেবা দালালের মাধ্যমে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। দালাল ছাড়া সরাসরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে না, যা স্থানীয়দের মাঝে তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও নামজারি, ডিসিআর ও দাখিলার ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালিত হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না। অফিসে নেই ‘সিটিজেন চার্টার’, ফলে সেবাপ্রত্যাশীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

দুদক জানিয়েছে, এসব অভিযানে সংগৃহীত তথ্য ও প্রমাণ বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্নীতি ও অনিয়ম জনসাধারণের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি উঠেছে সর্বস্তরে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এলজিইডিতে দুদকের অভিযান, ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ

আপডেট সময় ০৩:০৭:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তৎপর হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ অনুযায়ী, বিল উত্তোলনের মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।

বুধবার দুদকের একটি দল এলজিইডির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে, প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে। দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে কমিশন তদন্তে নামে। প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

একই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন জেলার ভূমি অফিসগুলোতেও ঘুষ ও হয়রানির অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।

যশোরে, মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালায় দুদকের যশোর জেলা কার্যালয়। নামজারি সেবায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বহিরাগত দিয়ে সরকারি কাজ করানোর অভিযোগ উঠে আসে। এক ভুক্তভোগী জানান, ১৯ হাজার টাকার দাখিলা থাকলেও তাকে ৮০ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। একই কর্মকর্তা আরও চার হাজার টাকা বেশি আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সাধারণ গ্রাহকদের সেবা দালালের মাধ্যমে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। দালাল ছাড়া সরাসরি সেবা পাওয়া যাচ্ছে না, যা স্থানীয়দের মাঝে তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জিউধরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও নামজারি, ডিসিআর ও দাখিলার ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে অভিযান পরিচালিত হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না। অফিসে নেই ‘সিটিজেন চার্টার’, ফলে সেবাপ্রত্যাশীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

দুদক জানিয়েছে, এসব অভিযানে সংগৃহীত তথ্য ও প্রমাণ বিশ্লেষণ করে কমিশনের কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্নীতি ও অনিয়ম জনসাধারণের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি উঠেছে সর্বস্তরে।