ঢাকা ০৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভূমি সেবায় হয়রানির অবসান ঘটাতে মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ: সিনিয়র সচিব কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে ১ ভারতীয় সেনা নিহত: নতুন করে বাড়ছে উত্তেজনা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে ‘বাধা সৃষ্টি করছে’ সরকারের একটি অংশ: রিজভী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত পরিবেশ উপেক্ষিত থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়: রিজওয়ানা হাসান রামগড়ে সীমান্তে ৫ জনকে পুশইন করেছে বিএসএফ শক্তিশালী মেঘমালায় উত্তাল বঙ্গোপসাগর, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জাপানে ৫০ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্যাক্সিচালক গ্রেপ্তার, ৩০০০ ছবি-ভিডিও উদ্ধার সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে বড় পদক্ষেপ, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন গ্রাহক পর্যায়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমালো বিটিআরসি

বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 1

ছবি সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে পদ থেকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনটিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষর করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের (৬) দফা অনুযায়ী বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচারপতি দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের নির্দেশে গঠিত এই কমিশনের দায়িত্ব ছিল সহিংসতার উৎস ও দায়ীদের চিহ্নিত করা।

তবে তদন্ত কাজ শুরুর আগেই, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তদন্ত কমিশনটি বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ সেসময় স্পষ্ট না হলেও, কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের অপসারণের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ না থাকলেও, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় রাষ্ট্রপতি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

আইন অঙ্গনে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের বিচারব্যবস্থা ও বিচারকদের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি দিলীরুজ্জামান ২০২০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচার বিভাগে তার কর্মজীবন ছিল দীর্ঘ, এবং তিনি বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবী মহলে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে রাষ্ট্রপতির এমন পদক্ষেপ বিচার বিভাগে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ০২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে পদ থেকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনটিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষর করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের (৬) দফা অনুযায়ী বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচারপতি দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের নির্দেশে গঠিত এই কমিশনের দায়িত্ব ছিল সহিংসতার উৎস ও দায়ীদের চিহ্নিত করা।

তবে তদন্ত কাজ শুরুর আগেই, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তদন্ত কমিশনটি বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ সেসময় স্পষ্ট না হলেও, কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের অপসারণের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ না থাকলেও, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় রাষ্ট্রপতি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

আইন অঙ্গনে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের বিচারব্যবস্থা ও বিচারকদের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি দিলীরুজ্জামান ২০২০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচার বিভাগে তার কর্মজীবন ছিল দীর্ঘ, এবং তিনি বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবী মহলে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে রাষ্ট্রপতির এমন পদক্ষেপ বিচার বিভাগে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।