ঢাকা ১২:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে পদ থেকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনটিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষর করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের (৬) দফা অনুযায়ী বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচারপতি দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের নির্দেশে গঠিত এই কমিশনের দায়িত্ব ছিল সহিংসতার উৎস ও দায়ীদের চিহ্নিত করা।

তবে তদন্ত কাজ শুরুর আগেই, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তদন্ত কমিশনটি বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ সেসময় স্পষ্ট না হলেও, কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের অপসারণের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ না থাকলেও, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় রাষ্ট্রপতি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

আইন অঙ্গনে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের বিচারব্যবস্থা ও বিচারকদের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি দিলীরুজ্জামান ২০২০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচার বিভাগে তার কর্মজীবন ছিল দীর্ঘ, এবং তিনি বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবী মহলে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে রাষ্ট্রপতির এমন পদক্ষেপ বিচার বিভাগে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচারপতি দিলীরুজ্জামানকে অপসারণ করলেন রাষ্ট্রপতি

আপডেট সময় ০২:৫৬:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

 

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে পদ থেকে অপসারণ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

বুধবার (২১ মে) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনটিতে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাক্ষর করেছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের (৬) দফা অনুযায়ী বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনা তদন্তে বিচারপতি দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সরকারের নির্দেশে গঠিত এই কমিশনের দায়িত্ব ছিল সহিংসতার উৎস ও দায়ীদের চিহ্নিত করা।

তবে তদন্ত কাজ শুরুর আগেই, ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক প্রজ্ঞাপন জারি করে তদন্ত কমিশনটি বাতিল করে দেয়। এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণ সেসময় স্পষ্ট না হলেও, কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছিল।

বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের অপসারণের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ না থাকলেও, সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় রাষ্ট্রপতি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

আইন অঙ্গনে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি একটি নজিরবিহীন পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের বিচারব্যবস্থা ও বিচারকদের স্বাধীনতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিচার বিভাগের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি দিলীরুজ্জামান ২০২০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। বিচার বিভাগে তার কর্মজীবন ছিল দীর্ঘ, এবং তিনি বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় দিয়েছেন।

এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্ট ও আইনজীবী মহলে প্রতিক্রিয়া কেমন হবে, সেটি সময়ই বলে দেবে। তবে রাষ্ট্রপতির এমন পদক্ষেপ বিচার বিভাগে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটিয়েছে।