গাজা সংকটে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডার

- আপডেট সময় ০১:৩১:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
- / 5
গাজায় চলমান মানবিক সংকট নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আরও কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা। সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে তিন দেশের নেতারা গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেন এবং অবিলম্বে মানবিক সহায়তা প্রবেশের দাবি জানান। খবর আলজাজিরা ও টাইমস অব ইসরায়েলের।
বিবৃতিতে বলা হয়, গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের মধ্যে ইসরায়েল যে সামান্য ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, তা সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত এবং মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন হতে পারে। জাতিসংঘের সঙ্গে সমন্বয় করে অবিলম্বে পূর্ণ মাত্রায় মানবিক সহায়তা চালুর ওপর জোর দেন তিন দেশের সরকারপ্রধান।
তারা বলেন, ইসরায়েলের এই ব্যর্থতা ‘অগ্রহণযোগ্য’ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।
গত ১ মার্চের পর সোমবার প্রথমবারের মতো পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্চের শুরুতে ইসরায়েল সমস্ত ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দেয়, যাতে হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করে জিম্মিদের মুক্তি আদায় করা যায়।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) কিছু কর্মকর্তাও রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সতর্ক করেছেন যে, গাজা চরম মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার ‘প্রাথমিক’ পর্যায়ে ত্রাণ সরবরাহ পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন।
তবে ডানপন্থী রাজনৈতিক গোষ্ঠীর কাছে নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্ত বেশ অজনপ্রিয় হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, তিন পশ্চিমা দেশের যৌথ বিবৃতিকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, “লন্ডন, প্যারিস ও অটোয়া ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর চালানো গণহত্যার প্রতিদান দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতের জন্য এমন হামলার পথ প্রশস্ত করছে।”
গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তা বন্ধ, খাদ্য ও ওষুধের সংকট এবং নাগরিক হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর এই সম্মিলিত অবস্থান নতুন করে কূটনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।