ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিয়ে এনসিপির জুলাই পদযাত্রা শুরু জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ বছর ঘুরে ফিরে আসলো গণঅভ্যুত্থানের সেই রক্তাক্ত জুলাই পারমাণবিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের নিশ্চয়তা চান ইরান: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে আজ মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ১৮ জুলাই পালিত হবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস: প্রেসসচিব ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ে ম্যানসিটি বিদায় করে কোয়ার্টারে আল হিলাল নির্বাচন হবে আগামী বছরের শুরুতে : মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 53

ছবি সংগৃহীত

 

আসন্ন বাজেটে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বাড়তি বরাদ্দ ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের এ দাবির সঙ্গে একমত কৃষি অর্থনীতিবিদরাও। তাঁদের মতে, বরাবরের মতো পুরো ভর্তুকি কেবল শস্যখাতে না দিয়ে এখন সময় হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতেও গুরুত্ব দেওয়ার।

বাংলাদেশ এখন শস্যের পাশাপাশি আমিষ উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, আর মুরগি উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। গত এক দশকে গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে ১৪২ শতাংশেরও বেশি।

তবে অংশগ্রহণ বাড়লেও শস্যের তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ, ভর্তুকি এবং ঋণ সুবিধা উল্লেখযোগ্য নয়। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ভোক্তার ওপর। খামারিরা বলছেন, খাবার ও ওষুধের অতিরিক্ত দামের কারণে লাভ উঠে আসে না। এতে অনেকেই খামার চালিয়ে রাখতে না পেরে বন্ধ করে দিচ্ছেন।

ফিড উৎপাদনকারীরাও কাঁচামাল কিনতে বিভিন্ন জটিলতায় পড়ছেন। দেশীয় কাঁচামাল সংগ্রহে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং আমদানিতে উচ্চ শুল্ক তাঁদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এতে ফিডের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে মাছ-মাংসের বাজারেও।

ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষকে কম খরচে মাছ, মাংস, ডিম-দুধ খাওয়াতে হলে ফিডের দাম কমাতেই হবে। এজন্য শুল্ক কমানো এবং খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ চালু করা জরুরি।

গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে চারবারই কৃষিখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পেয়েছে অতি সামান্য বরাদ্দ। অথচ সামগ্রিক কৃষি খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে এই উপখাত।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্যও আলাদা করে ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিশেষ করে খাবারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই খাতে ভর্তুকি দিলে দাম কমবে এবং ভোক্তাও স্বস্তি পাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে কৃষি সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে ভর্তুকি অংশ হতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা

আপডেট সময় ১২:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

আসন্ন বাজেটে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বাড়তি বরাদ্দ ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের এ দাবির সঙ্গে একমত কৃষি অর্থনীতিবিদরাও। তাঁদের মতে, বরাবরের মতো পুরো ভর্তুকি কেবল শস্যখাতে না দিয়ে এখন সময় হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতেও গুরুত্ব দেওয়ার।

বাংলাদেশ এখন শস্যের পাশাপাশি আমিষ উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, আর মুরগি উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। গত এক দশকে গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে ১৪২ শতাংশেরও বেশি।

তবে অংশগ্রহণ বাড়লেও শস্যের তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ, ভর্তুকি এবং ঋণ সুবিধা উল্লেখযোগ্য নয়। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ভোক্তার ওপর। খামারিরা বলছেন, খাবার ও ওষুধের অতিরিক্ত দামের কারণে লাভ উঠে আসে না। এতে অনেকেই খামার চালিয়ে রাখতে না পেরে বন্ধ করে দিচ্ছেন।

ফিড উৎপাদনকারীরাও কাঁচামাল কিনতে বিভিন্ন জটিলতায় পড়ছেন। দেশীয় কাঁচামাল সংগ্রহে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং আমদানিতে উচ্চ শুল্ক তাঁদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এতে ফিডের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে মাছ-মাংসের বাজারেও।

ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষকে কম খরচে মাছ, মাংস, ডিম-দুধ খাওয়াতে হলে ফিডের দাম কমাতেই হবে। এজন্য শুল্ক কমানো এবং খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ চালু করা জরুরি।

গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে চারবারই কৃষিখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পেয়েছে অতি সামান্য বরাদ্দ। অথচ সামগ্রিক কৃষি খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে এই উপখাত।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্যও আলাদা করে ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিশেষ করে খাবারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই খাতে ভর্তুকি দিলে দাম কমবে এবং ভোক্তাও স্বস্তি পাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে কৃষি সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে ভর্তুকি অংশ হতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা।