ঢাকা ০১:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

আসন্ন বাজেটে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বাড়তি বরাদ্দ ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের এ দাবির সঙ্গে একমত কৃষি অর্থনীতিবিদরাও। তাঁদের মতে, বরাবরের মতো পুরো ভর্তুকি কেবল শস্যখাতে না দিয়ে এখন সময় হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতেও গুরুত্ব দেওয়ার।

বাংলাদেশ এখন শস্যের পাশাপাশি আমিষ উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, আর মুরগি উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। গত এক দশকে গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে ১৪২ শতাংশেরও বেশি।

তবে অংশগ্রহণ বাড়লেও শস্যের তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ, ভর্তুকি এবং ঋণ সুবিধা উল্লেখযোগ্য নয়। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ভোক্তার ওপর। খামারিরা বলছেন, খাবার ও ওষুধের অতিরিক্ত দামের কারণে লাভ উঠে আসে না। এতে অনেকেই খামার চালিয়ে রাখতে না পেরে বন্ধ করে দিচ্ছেন।

ফিড উৎপাদনকারীরাও কাঁচামাল কিনতে বিভিন্ন জটিলতায় পড়ছেন। দেশীয় কাঁচামাল সংগ্রহে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং আমদানিতে উচ্চ শুল্ক তাঁদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এতে ফিডের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে মাছ-মাংসের বাজারেও।

ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষকে কম খরচে মাছ, মাংস, ডিম-দুধ খাওয়াতে হলে ফিডের দাম কমাতেই হবে। এজন্য শুল্ক কমানো এবং খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ চালু করা জরুরি।

গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে চারবারই কৃষিখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পেয়েছে অতি সামান্য বরাদ্দ। অথচ সামগ্রিক কৃষি খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে এই উপখাত।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্যও আলাদা করে ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিশেষ করে খাবারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই খাতে ভর্তুকি দিলে দাম কমবে এবং ভোক্তাও স্বস্তি পাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে কৃষি সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে ভর্তুকি অংশ হতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা

আপডেট সময় ১২:২২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

আসন্ন বাজেটে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বাড়তি বরাদ্দ ও সহজ শর্তে ঋণ সুবিধার দাবি জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাঁদের এ দাবির সঙ্গে একমত কৃষি অর্থনীতিবিদরাও। তাঁদের মতে, বরাবরের মতো পুরো ভর্তুকি কেবল শস্যখাতে না দিয়ে এখন সময় হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতেও গুরুত্ব দেওয়ার।

বাংলাদেশ এখন শস্যের পাশাপাশি আমিষ উৎপাদনেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়, আর মুরগি উৎপাদনে দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয়। গত এক দশকে গবাদিপশুর উৎপাদন বেড়েছে ১৪২ শতাংশেরও বেশি।

তবে অংশগ্রহণ বাড়লেও শস্যের তুলনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বরাদ্দ, ভর্তুকি এবং ঋণ সুবিধা উল্লেখযোগ্য নয়। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে এর প্রভাব পড়ছে সরাসরি ভোক্তার ওপর। খামারিরা বলছেন, খাবার ও ওষুধের অতিরিক্ত দামের কারণে লাভ উঠে আসে না। এতে অনেকেই খামার চালিয়ে রাখতে না পেরে বন্ধ করে দিচ্ছেন।

ফিড উৎপাদনকারীরাও কাঁচামাল কিনতে বিভিন্ন জটিলতায় পড়ছেন। দেশীয় কাঁচামাল সংগ্রহে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং আমদানিতে উচ্চ শুল্ক তাঁদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। এতে ফিডের দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে মাছ-মাংসের বাজারেও।

ফিড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, সাধারণ মানুষকে কম খরচে মাছ, মাংস, ডিম-দুধ খাওয়াতে হলে ফিডের দাম কমাতেই হবে। এজন্য শুল্ক কমানো এবং খামারিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ চালু করা জরুরি।

গত পাঁচ অর্থবছরের মধ্যে চারবারই কৃষিখাতে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের গড়ে সাড়ে ৫ শতাংশ। এর মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত পেয়েছে অতি সামান্য বরাদ্দ। অথচ সামগ্রিক কৃষি খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে এই উপখাত।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের মতো প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জন্যও আলাদা করে ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকা উচিত। বিশেষ করে খাবারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এই খাতে ভর্তুকি দিলে দাম কমবে এবং ভোক্তাও স্বস্তি পাবে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বাজেটে কৃষি সংশ্লিষ্ট পাঁচ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। যার মধ্যে ভর্তুকি অংশ হতে পারে ১৮ হাজার কোটি টাকা।