ঢাকা ০১:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২১ আগস্ট মামলায় খালাসের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানি শুরু শ্রীমঙ্গলে করলা চাষে বিপ্লব, বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবন গণতন্ত্রের পথে ঐকমত্য প্রয়োজন, মতপার্থক্য নয়: আলী রীয়াজ মেয়র পদে ইশরাক হোসেনকে বসানো নিয়ে উত্তপ্ত গুলিস্তান, চলছেই লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শিক্ষার্থীদের হামলার নিন্দা সারজিস আলমের, ‘ধিক্কার জানাই এমন আচরণে’ সিন্ধু চুক্তি ভাঙার চিন্তা করবেন না, নয়াদিল্লিকে হুঁশিয়ারি পাক প্রধানমন্ত্রীর বাল্যবিবাহ বিরোধী পোস্টের জেরে প্রাণ গেল তরুণের: গ্রেফতার ৬ জন বাজেটে মৎস্য-প্রাণিসম্পদে বাড়তি ভর্তুকি ও ঋণ সুবিধা চান খাতসংশ্লিষ্টরা কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে ১ বিজিবি সদস্য নিহত, আহত আরো ৪ কোটচাঁদপুরে ট্রেনে অভিযান, ৩ কোটির হেরোইন উদ্ধার

পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ মানতে প্রস্তুত ইরান, শর্ত শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
  • / 3

ছবি সংগৃহীত

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ মেনে নিতে প্রস্তুত।

বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামখানি বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। একইসঙ্গে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।

সাংবাদিকের প্রশ্নে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিতে ইরান যেতে পারে কি না এর জবাবে শামখানি বলেন, “হ্যাঁ, যদি নিষেধাজ্ঞাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হয়।”

এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে চতুর্থ দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক ছিল দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে গেলে ইরানও ধীরে ধীরে চুক্তির বাধ্যবাধকতা থেকে পিছিয়ে আসে।

চুক্তিতে ইরানকে ৩.৬৭ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা ৯০ শতাংশে পৌঁছালে তা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী হয়ে ওঠে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি মন্তব্য করেন, “ইরানই একমাত্র দেশ, যারা পারমাণবিক অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও এত উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।”

পশ্চিমা দেশগুলো বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তেহরান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

এদিকে আলোচনা চলাকালেই ওয়াশিংটন আবারও ইরানের তেল খাত ও পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাটি ঘোষণা করা হয়েছে গত সোমবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

পারমাণবিক কর্মসূচিতে বিধিনিষেধ মানতে প্রস্তুত ইরান, শর্ত শুধু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার

আপডেট সময় ১২:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তাহলে তেহরান তার পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর কঠোর বিধিনিষেধ মেনে নিতে প্রস্তুত।

বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামখানি বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। একইসঙ্গে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করা এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেন তিনি।

সাংবাদিকের প্রশ্নে, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে চুক্তিতে ইরান যেতে পারে কি না এর জবাবে শামখানি বলেন, “হ্যাঁ, যদি নিষেধাজ্ঞাগুলো তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হয়।”

এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে চতুর্থ দফায় আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক ছিল দুই দেশের মধ্যকার সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইরান ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের মধ্যে একটি পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরে গেলে ইরানও ধীরে ধীরে চুক্তির বাধ্যবাধকতা থেকে পিছিয়ে আসে।

চুক্তিতে ইরানকে ৩.৬৭ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে, যা ৯০ শতাংশে পৌঁছালে তা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী হয়ে ওঠে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সম্প্রতি মন্তব্য করেন, “ইরানই একমাত্র দেশ, যারা পারমাণবিক অস্ত্র না থাকা সত্ত্বেও এত উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে।”

পশ্চিমা দেশগুলো বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে তেহরান শুরু থেকেই দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

এদিকে আলোচনা চলাকালেই ওয়াশিংটন আবারও ইরানের তেল খাত ও পারমাণবিক কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞাটি ঘোষণা করা হয়েছে গত সোমবার।