ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানের কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত, নিখোঁজ বহু বন্দি গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৭২, ত্রাণ কেন্দ্রেও হামলা যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়ি অঞ্চলে স্নাইপার হামলা, নিহত ২ ফায়ার সার্ভিস কর্মী হজ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি হাজি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আজ জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত ওপেক প্লাসের উৎপাদন বৃদ্ধির সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে তেলের বাজারে দামে পতন মেসির ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে পিএসজি মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার

কাতারের রাজপরিবারের বিলাসবহুল বিমান উপহার নিয়ে এবার মুখ খুললেন ট্রাম্প

ট্রাম্প, কাতার, বিমানউপহার, রাজপরিবার
  • আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 20

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, কাতারের রাজপরিবার তাঁর ব্যবহারের জন্য একটি বিলাসবহুল জাম্বো বিমান উপহার দিতে চেয়েছিল, যা ছিল শুধুই ‘আন্তরিকতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প জানান, বোয়িং কোম্পানি পরবর্তী প্রজন্মের এয়ার ফোর্স ওয়ান তৈরিতে দেরি করছে। এই পরিস্থিতিতে কাতারের রাজপরিবার তাঁকে সাহায্য করতে চেয়েছে।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে অনৈতিক ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর ও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার তাঁর এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে বলেন, ‘‘কাতারের সৌজন্যে দেয়া একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান কখনই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-এর প্রতীক হতে পারে না।’’

তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এই ধরনের অভিযোগকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিদেশি কোনো সরকার যদি কোনো উপহার দেয়, তা সর্বদা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন মেনেই গ্রহণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’’

উল্লেখ্য, বোয়িংয়ের তৈরি নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান প্রকল্প নিয়ে আগে থেকেই নানা জটিলতা ও বিলম্ব চলছে। এই পরিস্থিতিতে কাতারের পক্ষ থেকে বিকল্প বিমান সরবরাহের প্রস্তাবকে অনেকেই কূটনৈতিক কৌশল হিসেবেও দেখছেন।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই এই প্রস্তাবকে কোনো ধরনের লেনদেন বা প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা নয় বলে দাবি করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘‘এটা নিছক সৌজন্য ও ব্যক্তিগত সম্মানের বিষয়। কাতার আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু।’’

এদিকে মার্কিন প্রশাসনের কিছু অংশ এবং কংগ্রেস সদস্যরা এই ধরনের বিদেশি উপহার গ্রহণের নীতিগত দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এমন কোনো উপহার গ্রহণ করলে তা সরকারের স্বার্থের সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন তুলতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাটি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির প্রেক্ষাপটে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিমান গ্রহণের বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি, তবে বিতর্ক থামেনি।

সূত্র: আল জাজিরা

 

নিউজটি শেয়ার করুন

কাতারের রাজপরিবারের বিলাসবহুল বিমান উপহার নিয়ে এবার মুখ খুললেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ১১:৪৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, কাতারের রাজপরিবার তাঁর ব্যবহারের জন্য একটি বিলাসবহুল জাম্বো বিমান উপহার দিতে চেয়েছিল, যা ছিল শুধুই ‘আন্তরিকতা ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ’।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ট্রাম্প জানান, বোয়িং কোম্পানি পরবর্তী প্রজন্মের এয়ার ফোর্স ওয়ান তৈরিতে দেরি করছে। এই পরিস্থিতিতে কাতারের রাজপরিবার তাঁকে সাহায্য করতে চেয়েছে।

এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বিষয়টিকে অনৈতিক ও অসাংবিধানিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ডেমোক্র্যাট সিনেটর ও সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা চাক শুমার তাঁর এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে বলেন, ‘‘কাতারের সৌজন্যে দেয়া একটি এয়ার ফোর্স ওয়ান কখনই ‘আমেরিকা ফার্স্ট’-এর প্রতীক হতে পারে না।’’

তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট এই ধরনের অভিযোগকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিদেশি কোনো সরকার যদি কোনো উপহার দেয়, তা সর্বদা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত আইন মেনেই গ্রহণ করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতায় অঙ্গীকারবদ্ধ।’’

উল্লেখ্য, বোয়িংয়ের তৈরি নতুন এয়ার ফোর্স ওয়ান বিমান প্রকল্প নিয়ে আগে থেকেই নানা জটিলতা ও বিলম্ব চলছে। এই পরিস্থিতিতে কাতারের পক্ষ থেকে বিকল্প বিমান সরবরাহের প্রস্তাবকে অনেকেই কূটনৈতিক কৌশল হিসেবেও দেখছেন।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবারই এই প্রস্তাবকে কোনো ধরনের লেনদেন বা প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা নয় বলে দাবি করেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘‘এটা নিছক সৌজন্য ও ব্যক্তিগত সম্মানের বিষয়। কাতার আমাদের দীর্ঘদিনের বন্ধু।’’

এদিকে মার্কিন প্রশাসনের কিছু অংশ এবং কংগ্রেস সদস্যরা এই ধরনের বিদেশি উপহার গ্রহণের নীতিগত দিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এমন কোনো উপহার গ্রহণ করলে তা সরকারের স্বার্থের সঙ্গে সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে পারে এবং রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতায় প্রশ্ন তুলতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাটি ট্রাম্প প্রশাসনের বিদেশনীতির প্রেক্ষাপটে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত বিমান গ্রহণের বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়নি, তবে বিতর্ক থামেনি।

সূত্র: আল জাজিরা