পাকিস্তানে ভারতের বিমান হামলায় নিহত বেড়ে ২৬, আহত অন্তত ৪৬

- আপডেট সময় ১২:২৭:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ মে ২০২৫
- / 4
পাকিস্তানের অন্তত ছয়টি স্থানে ভারতের সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং অন্তত ৪৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ। আজ বুধবার (৭ মে) সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ভারত আবারও তাদের কাপুরুষোচিত অতীতের পুনরাবৃত্তি করেছে। রাতের আঁধারে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।”
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাহাওয়ালপুরের আহমদপুর ইস্ট এলাকায় একটি মসজিদে হামলায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন, যাদের মধ্যে দুইজন শিশু কন্যাও রয়েছে। মুরিদকে আরেকটি মসজিদে হামলায় নিহত হন তিনজন এবং আহত হন একজন। মুজাফফরাবাদে হামলায় প্রাণ হারান তিনজন বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হন একজন কিশোরী ও একজন কিশোর।
কোটলির আব্বাস মসজিদে চালানো হামলায় নিহত হন ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ও ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। আহত হয়েছেন একজন মা ও তার মেয়ে। এছাড়া শিয়ালকোট ও শাকরগড় এলাকাতেও হামলা চালানো হয়েছে, তবে এসব স্থানে হতাহতের কোনো খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
আইএসপিআর মহাপরিচালক জানান, আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে পাকিস্তান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে এবং সফলভাবে ভূপাতিত করেছে ৫টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন। ধ্বংস হওয়া বিমানের মধ্যে রয়েছে তিনটি রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-সিরিজের বিমান।
তিনি বলেন, “পাকিস্তানের আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের জবাবে আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছি। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা প্রস্তুত।”
ভারতীয় বাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর একতরফাভাবে গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এর ফলে আরও পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া তিনি জানান, ভারতীয় হামলার ফলে নীলম-ঝেলম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নোসেরি ড্যামের কাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ঝুঁকিতে পড়েছে।
জেনারেল শরীফ বলেন, “পাকিস্তান কখনোই সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আপস করবে না। প্রয়োজনে আরও কঠোর জবাব দেওয়া হবে। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে সব ধরনের হুমকির মোকাবিলায়।”
এই ঘটনাগুলো দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।