ঢাকা ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

বর্ষার আগেই আতঙ্কে মেঘনার উপকূলবাসী, মরণ ফাঁদে পরিণত বেড়িবাঁধ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
  • / 55

ছবি সংগৃহীত

 

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলবর্তী সদর ও কমলনগর উপজেলার হাজারো মানুষ এখন দিন কাটাচ্ছেন উৎকণ্ঠায়। বর্ষা শুরু না হতেই জোয়ারের পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, তৈরি হয়েছে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে মজুচৌধুরীর হাট থেকে মতিরহাট পর্যন্ত প্রায় ২ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধটির কোনো কার্যকর সংস্কার করা হয়নি। ফলে এটি এখন কার্যত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও বাঁধটি দুই ফুট পর্যন্ত নিচু হয়ে গেছে। এ কারণে জোয়ারের পানি অনায়াসেই প্রবেশ করছে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গবাদিপশুর খামারে। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উপকূলের মানুষ।

চর রমণীমোহন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, “প্রায় প্রতি বছরই পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হয়। বারবার বিষয়টি জানানো হলেও কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেড়িবাঁধটি এখন নিচু হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ভেঙেও পড়েছে। প্রতি বছর আমরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছি।”

৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাগর বলেন, “জোয়ারের পানি এলে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়ি। হাঁস-মুরগি রক্ষা করাও কষ্টকর। বেড়িবাঁধ আমাদের জন্য এখন দুর্ভোগের নাম।”

কমলনগরের চর মার্টির এলাকার ওমর ফারুক বলেন, “প্রতিবছর লোক দেখানো কিছু মেরামত হয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান আসে না। একসময় হয়তো এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হব।”

বিষয়টি স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান জানান, “বর্ষার আগেই সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করা হবে। সার্বক্ষণিক নজরদারিও চলছে।”

তবে উপকূলবাসীর দাবি, বর্ষার আগেই দ্রুত টেকসই ও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে প্রতিবছরই এ অঞ্চলের মানুষকে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে পড়তে হবে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বর্ষার আগেই আতঙ্কে মেঘনার উপকূলবাসী, মরণ ফাঁদে পরিণত বেড়িবাঁধ

আপডেট সময় ০১:১১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

 

লক্ষ্মীপুরের মেঘনা উপকূলবর্তী সদর ও কমলনগর উপজেলার হাজারো মানুষ এখন দিন কাটাচ্ছেন উৎকণ্ঠায়। বর্ষা শুরু না হতেই জোয়ারের পানি প্রবল বেগে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে, তৈরি হয়েছে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে মজুচৌধুরীর হাট থেকে মতিরহাট পর্যন্ত প্রায় ২ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বেড়িবাঁধটির কোনো কার্যকর সংস্কার করা হয়নি। ফলে এটি এখন কার্যত মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও বাঁধটি দুই ফুট পর্যন্ত নিচু হয়ে গেছে। এ কারণে জোয়ারের পানি অনায়াসেই প্রবেশ করছে বাড়িঘর, ফসলি জমি ও গবাদিপশুর খামারে। এতে ক্ষতির মুখে পড়ছেন উপকূলের মানুষ।

চর রমণীমোহন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, “প্রায় প্রতি বছরই পানি ঢুকে লোকালয় প্লাবিত হয়। বারবার বিষয়টি জানানো হলেও কোন স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”

স্থানীয় বাসিন্দা কামাল হোসেন বলেন, “দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় বেড়িবাঁধটি এখন নিচু হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে ভেঙেও পড়েছে। প্রতি বছর আমরা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছি।”

৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাগর বলেন, “জোয়ারের পানি এলে গরু-ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়ি। হাঁস-মুরগি রক্ষা করাও কষ্টকর। বেড়িবাঁধ আমাদের জন্য এখন দুর্ভোগের নাম।”

কমলনগরের চর মার্টির এলাকার ওমর ফারুক বলেন, “প্রতিবছর লোক দেখানো কিছু মেরামত হয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী কোনো সমাধান আসে না। একসময় হয়তো এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হব।”

বিষয়টি স্বীকার করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ-জামান খান জানান, “বর্ষার আগেই সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করা হবে। সার্বক্ষণিক নজরদারিও চলছে।”

তবে উপকূলবাসীর দাবি, বর্ষার আগেই দ্রুত টেকসই ও স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের বাস্তব উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে প্রতিবছরই এ অঞ্চলের মানুষকে ভয়াবহ দুর্যোগের মুখে পড়তে হবে।