ঢাকা ১১:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
১৫ আগস্ট ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প ও পুতিন উপেক্ষার জবাবে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক রোনালদোর ঢাবির আবাসিক হলে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের ঘোষণা গাজায় একদিনে আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত, মোট প্রাণহানি ছাড়াল ৬১ হাজার মুসলিম দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপীয় রাব্বানিক সম্মেলন, আয়োজক আজারবাইজান যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা”

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 18

ছবি সংগৃহীত

 

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের আগের সময়কাল অনেক কঠিন হয়। এই সময়ে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, যাতে পরাজিত কোনো শক্তি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল। অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী জনরোষের মুখে পড়েছিল, যার কারণে অনেক সৎ কর্মকর্তাকেও মূল্য দিতে হয়েছে। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। স্বৈরাচার পতনের পর পুলিশ বাহিনীর যে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, তা কাটিয়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সর্বোচ্চ সংবেদনশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। ন্যায়বিচার ও সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পুলিশ হচ্ছে মূল শক্তি। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো, স্বৈরাচার আমলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তা কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের লক্ষ্য, মানুষ যেন পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।”

ড. ইউনূস বলেন, “আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি। দ্বিতীয় বাংলাদেশ নির্মাণের পথে আছি। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ হারালে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকবো।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ শক্তি আমাদের স্বপ্ন ও ঐক্য ভেঙে দিতে সক্রিয়। তাদের প্রতিহত করতে পুলিশকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।”

ড. ইউনূস জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে ভোটারদের নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা দিতে পুলিশকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : ড. মুহাম্মদ ইউনূস

আপডেট সময় ০৩:১০:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

 

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচনের আগের সময়কাল অনেক কঠিন হয়। এই সময়ে পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে, যাতে পরাজিত কোনো শক্তি দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে না পারে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, গত ১৫ বছরে পুলিশকে দলীয় বাহিনীতে পরিণত করা হয়েছিল। অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনী জনরোষের মুখে পড়েছিল, যার কারণে অনেক সৎ কর্মকর্তাকেও মূল্য দিতে হয়েছে। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। স্বৈরাচার পতনের পর পুলিশ বাহিনীর যে ভাঙন দেখা দিয়েছিল, তা কাটিয়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে বলেও তিনি জানান।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সর্বোচ্চ সংবেদনশীল হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে দেশের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। ন্যায়বিচার ও সব মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পুলিশ হচ্ছে মূল শক্তি। এখন বড় চ্যালেঞ্জ হলো, স্বৈরাচার আমলে পুলিশের সঙ্গে জনগণের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তা কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের লক্ষ্য, মানুষ যেন পুলিশকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করে।”

ড. ইউনূস বলেন, “আমরা একটি ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি। দ্বিতীয় বাংলাদেশ নির্মাণের পথে আছি। জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। এই সুযোগ হারালে আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে দায়ী থাকবো।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমরা এখন এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি। অশুভ শক্তি আমাদের স্বপ্ন ও ঐক্য ভেঙে দিতে সক্রিয়। তাদের প্রতিহত করতে পুলিশকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।”

ড. ইউনূস জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পুলিশ বাহিনীর নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি বলে তিনি মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে ভোটারদের নিরাপদ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তা দিতে পুলিশকে অগ্রণী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান তিনি।