বেলুচিস্তানে তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ১ আহত অন্তত ৬০

- আপডেট সময় ১১:৪৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৬ বার পড়া হয়েছে
পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের নোশকি জেলায় একটি তেলবাহী ট্যাংকারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৬০ জন দগ্ধ হয়েছেন এবং এদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আমজাদ সুমরো। বিস্ফোরণে ট্যাংকারের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
জানা গেছে, নোশকির একটি ট্রাক ডিপোতে পার্ক করে রাখা তেলবাহী ট্যাংকারে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। এ সময় শর্ট সার্কিট থেকে আগুন ধরে যায় এবং ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে ট্যাংকারটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের সময় আশপাশে থাকা বহু মানুষ আগুনে পুড়ে যায়।
জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে ডন জানায়, চালক প্রথমে জ্বালানি ট্যাংকে লিকেজ লক্ষ্য করেন। লিক বন্ধ করতে না পেরে তিনি ট্রাকটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে খোলা জায়গায় নিয়ে যান। পরে ঝালাইয়ের সময় আগুন ধরে যায় এবং বিস্ফোরণ ঘটে। চালক ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, চার পুলিশ এবং সাধারণ মানুষের শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ডন। গুরুতর আহতদের হেলিকপ্টারে করে কুইটার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
বেলুচিস্তান সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতায় ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটিও পুড়ে গেছে। আহতদের কুইটার সিভিল হাসপাতাল ও বোলান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ২৮ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ১০ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় কুইটায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
ঘটনার পর বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী মীর সরফরাজ বুগতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাৎক্ষণিক উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, আহতদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রী চিকিৎসা তদারকি করছেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয়। ২০১৭ সালে পাঞ্জাবে এক ট্যাংকার উল্টে পড়ার পর আগুনে পুড়ে ২১২ জনের মৃত্যু হয়। এ ধরনের ঘটনায় সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।