ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত, আহত অন্তত ২৯ শিশুদের মাঝে গড়ে তুলতে হবে পরিবেশ সচেতনতা: রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষায় জাতিসংঘের নতুন মিশন চালু: প্রেস উইং দেশজুড়ে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৩৯৪ জন আর কোনো ‘গডফাদার’ বাংলাদেশে সৃষ্টি হতে দেওয়া হবে না: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের শ্রমিকদের কালো তালিকাভুক্ত করার অধিকার নেই মালিকদের: শ্রম উপদেষ্টা

পাকিস্তানের হাসান খেল সীমান্তে ৫৪ সন্ত্রাসী নিহত, ভারতের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:২০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
  • / 65

ছবি সংগৃহীত

 

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকায় আফগান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ইসলামাবাদ সন্দেহ করছে, এ অনুপ্রবেশের পেছনে ভারতের ইন্ধন থাকতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা তিনদিন হাসান খেল সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এনে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সংঘর্ষে ওই সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও নির্ভুলতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করে দেয়। ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখিত ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়। এখানে ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলতে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যদের বোঝানো হয়েছে।

নিহতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এ সন্ত্রাসীরা ‘বিদেশি কর্তাদের’ নির্দেশে পাকিস্তানে বড় ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করছিল।

আইএসপিআর জানায়, ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, ঠিক সেই সময় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রমাণ করে কারা এদের পেছনে রয়েছে। এটি পাকিস্তান রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।

এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসপিআর জানায়, ভারতের কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া, যাতে সন্ত্রাসীরা সুবিধা নিতে পারে।

আইএসপিআর আরও উল্লেখ করে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ইতিহাসে একক সংঘর্ষে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক সন্ত্রাসী হত্যার ঘটনা।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বহুদিন ধরেই এ সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের হাসান খেল সীমান্তে ৫৪ সন্ত্রাসী নিহত, ভারতের সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ

আপডেট সময় ১২:২০:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

 

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার উত্তর ওয়াজিরিস্তানের হাসান খেল এলাকায় আফগান সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অন্তত ৫৪ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। ইসলামাবাদ সন্দেহ করছে, এ অনুপ্রবেশের পেছনে ভারতের ইন্ধন থাকতে পারে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২৫ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা তিনদিন হাসান খেল সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণে এনে নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং সংঘর্ষে ওই সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়।

আইএসপিআরের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষতা ও নির্ভুলতার সঙ্গে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ব্যর্থ করে দেয়। ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলে উল্লেখিত ৫৪ জনকে হত্যা করা হয়। এখানে ‘খারিজ সন্ত্রাসী’ বলতে নিষিদ্ধ সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর সদস্যদের বোঝানো হয়েছে।

নিহতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এ সন্ত্রাসীরা ‘বিদেশি কর্তাদের’ নির্দেশে পাকিস্তানে বড় ধরনের হামলার উদ্দেশ্যে প্রবেশ করছিল।

আইএসপিআর জানায়, ভারত যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে, ঠিক সেই সময় এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রমাণ করে কারা এদের পেছনে রয়েছে। এটি পাকিস্তান রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে এক ধরনের বিশ্বাসঘাতকতা।

এছাড়া, জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির এক বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে আইএসপিআর জানায়, ভারতের কৌশলগত উদ্দেশ্য হলো পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া, যাতে সন্ত্রাসীরা সুবিধা নিতে পারে।

আইএসপিআর আরও উল্লেখ করে, পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ইতিহাসে একক সংঘর্ষে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক সন্ত্রাসী হত্যার ঘটনা।

উল্লেখ্য, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। বহুদিন ধরেই এ সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে।