ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গরমে লোডশেডিং সীমিত রাখতে সরকারের প্রচেষ্টা চলছে: জ্বালানি উপদেষ্টা ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত ৫৬১ ছাড়ালো, দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি শ্রীনগরে ধান কাটার কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন কৃষি উপদেষ্টা নির্বাচনের রোডম্যাপ দ্রুত ঘোষণা করুন—রিজভীর দাবি টানা ছয় দিন বন্ধ বুড়িমারী-লালমনিরহাট ট্রেন যোগাযোগ নেশাজাত দ্রব্যে অচেতন ৪ নিরাপত্তাকর্মী, ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন মিরসরাইয়ে ঢ্যাঁড়শ চাষে স্বাবলম্বী কৃষকেরা, বাড়ছে আবাদ ইরানের বন্দর আব্বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, আহত অন্তত ১৯৫ জন মে মাসে টানা ৩ দিন করে দুইবার ছুটি মিলছে সরকারি চাকরিজীবীদের তিন দাবিতে ফের আন্দোলনে যাচ্ছেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা

পাকিস্তানে সিন্ধুর এক ফোঁটা পানিও যাবে না বলে ভারতের হুঁশিয়ারি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

ভারত পাকিস্তানে সিন্ধু নদীর এক ফোঁটা পানিও প্রবাহিত হতে দেবে না এমন হুঁশিয়ারি দিল দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর: ইকোনোমিক টাইমস।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগ্রামে এক সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত অভিযোগ করেছে, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের পরোক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও বর্তমানে সিন্ধুর পানি প্রবাহ বন্ধ করার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ভারতের নেই, তবে তা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআর পাতিল।

এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।”

জলশক্তিমন্ত্রী আরও বলেন, “সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করছে, যাতে পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। অচিরেই নদীর প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদীর জল ব্যবহারের নির্দিষ্ট অধিকার নির্ধারণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে এই চুক্তি বলবৎ থাকলেও সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত এ চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, সিন্ধু নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হতে পারে এবং এতে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে দক্ষিণ এশিয়ায়। তবুও ভারত সরকারের কড়া অবস্থান এবং সিন্ধু নদীর প্রবাহ বন্ধের ঘোষণা নতুন করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে সিন্ধুর এক ফোঁটা পানিও যাবে না বলে ভারতের হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় ১১:৫৫:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

 

ভারত পাকিস্তানে সিন্ধু নদীর এক ফোঁটা পানিও প্রবাহিত হতে দেবে না এমন হুঁশিয়ারি দিল দেশটির জলশক্তিমন্ত্রী সিআর পাতিল। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর: ইকোনোমিক টাইমস।

মঙ্গলবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগ্রামে এক সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত অভিযোগ করেছে, এই হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের পরোক্ষ সম্পৃক্ততা রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু নদ পানি চুক্তি স্থগিত ঘোষণা করে। যদিও বর্তমানে সিন্ধুর পানি প্রবাহ বন্ধ করার মতো প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ভারতের নেই, তবে তা তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন সিআর পাতিল।

এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বৈঠকে তিনটি বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।”

জলশক্তিমন্ত্রী আরও বলেন, “সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার ভিত্তিতে কাজ করছে, যাতে পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও না যায়। অচিরেই নদীর প্রবাহ অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ড্রেজিংয়ের কাজ সম্পন্ন করা হবে।”

প্রসঙ্গত, ১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় ‘সিন্ধু পানি চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, সিন্ধু নদীর জল ব্যবহারের নির্দিষ্ট অধিকার নির্ধারণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে এই চুক্তি বলবৎ থাকলেও সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত এ চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

তবে বিশ্লেষকদের মতে, সিন্ধু নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী হতে পারে এবং এতে নতুন করে উত্তেজনা বাড়তে পারে দক্ষিণ এশিয়ায়। তবুও ভারত সরকারের কড়া অবস্থান এবং সিন্ধু নদীর প্রবাহ বন্ধের ঘোষণা নতুন করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বাড়াবে বলেই মনে করা হচ্ছে।