ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

ফিক্সিং প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি : হুঁশিয়ারি বিসিবি সভাপতির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া। বিপিএলের সর্বশেষ আসরের কিছু ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ জাগার পর এবার ঘরোয়া লিগেও একই অভিযোগে তোলপাড়। বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার একটি ম্যাচে সন্দেহজনক আচরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিসিবি তদন্তে নেমেছে।

এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, “প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিভিশনে ম্যাচ ফিক্সিং আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। তবে একেবারে নির্মূল হয়নি।” তিনি মনে করেন, ফিক্সিং ক্রিকেটের ভিত্তি নষ্ট করে দেয়। “যদি কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে শূন্য রানে আউট হতে বলা হয়, বা উইকেট না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেটা আর খেলা থাকে না,” মন্তব্য করেন তিনি।

‘খেলবেই বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক যুব ক্রিকেট কার্নিভালে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি টেকনিক্যাল কমিটি রয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রমাণ মিললে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিসিবি কার্যালয়ে হানা দেয়। এ বিষয়ে ফারুক জানান, “আমি তখনই আইসিসি মিটিং থেকে ফিরেছি। দুদক নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েই এসেছিল। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।”

তিনি বলেন, “সিইওকে নির্দেশ দিয়েছি, যেন দুদকের সকল প্রশ্নের জবাব দেন। তদন্ত কতদূর এগোবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।”

এদিকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সম্প্রচারে সংকটে পড়েছিল বিসিবি। এমন সময় বিটিভি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজটি সম্প্রচারে রাজি হয়। বিসিবি সভাপতির ভাষায়, “বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পর্যায়ে আর্থিক মন্দা চলছে। জিও স্টারও স্পনসর সমস্যায় ভুগছে। সরকার পরিবর্তনের পর আমাদেরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বিটিভিকে ধন্যবাদ জানাই। তারা স্লটের ভীড়ে সময় বের করে খেলা দেখাবে। এতে অন্তত দর্শকরা ঘরে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবে।”

তিনি আরও জানান, “আমরা আরেকটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করছি। চেষ্টা করছি সিরিজটি আরও একাধিক মাধ্যমে সম্প্রচারের। পাশাপাশি আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছি। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।”

বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে সময়েই বিতর্ক এসেছে, বিসিবি তা মোকাবেলার আশ্বাস দিয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে ফলাফল সময়ই বলে দেবে ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া সরবে কি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফিক্সিং প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি : হুঁশিয়ারি বিসিবি সভাপতির

আপডেট সময় ০৭:৪৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশ ক্রিকেটে আবারও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া। বিপিএলের সর্বশেষ আসরের কিছু ম্যাচ নিয়ে সন্দেহ জাগার পর এবার ঘরোয়া লিগেও একই অভিযোগে তোলপাড়। বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার একটি ম্যাচে সন্দেহজনক আচরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিসিবি তদন্তে নেমেছে।

এ প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, “প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিভিশনে ম্যাচ ফিক্সিং আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে। তবে একেবারে নির্মূল হয়নি।” তিনি মনে করেন, ফিক্সিং ক্রিকেটের ভিত্তি নষ্ট করে দেয়। “যদি কাউকে ইচ্ছাকৃতভাবে শূন্য রানে আউট হতে বলা হয়, বা উইকেট না নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তবে সেটা আর খেলা থাকে না,” মন্তব্য করেন তিনি।

‘খেলবেই বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক যুব ক্রিকেট কার্নিভালে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, “আমাদের একটি টেকনিক্যাল কমিটি রয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রমাণ মিললে অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না।”

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিসিবি কার্যালয়ে হানা দেয়। এ বিষয়ে ফারুক জানান, “আমি তখনই আইসিসি মিটিং থেকে ফিরেছি। দুদক নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েই এসেছিল। আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।”

তিনি বলেন, “সিইওকে নির্দেশ দিয়েছি, যেন দুদকের সকল প্রশ্নের জবাব দেন। তদন্ত কতদূর এগোবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।”

এদিকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সম্প্রচারে সংকটে পড়েছিল বিসিবি। এমন সময় বিটিভি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজটি সম্প্রচারে রাজি হয়। বিসিবি সভাপতির ভাষায়, “বর্তমানে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া পর্যায়ে আর্থিক মন্দা চলছে। জিও স্টারও স্পনসর সমস্যায় ভুগছে। সরকার পরিবর্তনের পর আমাদেরও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “বিটিভিকে ধন্যবাদ জানাই। তারা স্লটের ভীড়ে সময় বের করে খেলা দেখাবে। এতে অন্তত দর্শকরা ঘরে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবে।”

তিনি আরও জানান, “আমরা আরেকটি টিভি চ্যানেলের সঙ্গে আলোচনা করছি। চেষ্টা করছি সিরিজটি আরও একাধিক মাধ্যমে সম্প্রচারের। পাশাপাশি আগামী আড়াই বছরের জন্য মিডিয়া রাইটস বিক্রির প্রস্তুতিও নিচ্ছি। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।”

বাংলাদেশ ক্রিকেটে যে সময়েই বিতর্ক এসেছে, বিসিবি তা মোকাবেলার আশ্বাস দিয়েছে। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে ফলাফল সময়ই বলে দেবে ফিক্সিংয়ের কালো ছায়া সরবে কি না।