১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

চুরি ও হারানো ২৫১টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফেরত দিলো ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • / 82

ছবি সংগৃহীত

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া, চুরি কিংবা ছিনতাইকৃত ২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সেগুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।

তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের এই সফল অভিযান বিগত এক মাসে পরিচালিত হয়। তেজগাঁও বিভাগের আওতাধীন ছয়টি থানার পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ডিএমপি সূত্র জানায়, শেরেবাংলানগর থানা উদ্ধার করেছে ৬৩টি মোবাইল, হাতিরঝিল থানা ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানা ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ও আদাবর থানা উদ্ধার করেছে ৩২টি করে, এবং তেজগাঁও থানা উদ্ধার করেছে ৩০টি মোবাইল ফোন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনই আগে করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কিংবা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়। এরপর আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা দক্ষতার মাধ্যমে ফোনগুলো শনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোবাইলগুলো প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার নিজে উপস্থিত থেকে মালিকদের হাতে মোবাইল তুলে দেন। এছাড়াও তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ জানান, তারা ভাবতেই পারেননি চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া ফোন ফিরে পাবেন। এই উদ্যোগকে অনেকেই পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরানোর ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

ডিএমপির এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিকরা। তাদের মতে, পুলিশের আন্তরিকতা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আরও বাড়লে এই ধরনের অপরাধ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান বলেন, “জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তার জায়গা থেকে আমরা দায়বদ্ধ। হারানো বা চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সেই আস্থা আরও সুদৃঢ় করতে চাই।”

এই সেবামূলক উদ্যোগকে নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তেজগাঁও বিভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

চুরি ও হারানো ২৫১টি মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের ফেরত দিলো ডিএমপি তেজগাঁও বিভাগ

আপডেট সময় ০৫:৫১:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগ এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া, চুরি কিংবা ছিনতাইকৃত ২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সেগুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছে তারা।

তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশের এই সফল অভিযান বিগত এক মাসে পরিচালিত হয়। তেজগাঁও বিভাগের আওতাধীন ছয়টি থানার পুলিশ সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ডিএমপি সূত্র জানায়, শেরেবাংলানগর থানা উদ্ধার করেছে ৬৩টি মোবাইল, হাতিরঝিল থানা ৫৪টি, মোহাম্মদপুর থানা ৪০টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা ও আদাবর থানা উদ্ধার করেছে ৩২টি করে, এবং তেজগাঁও থানা উদ্ধার করেছে ৩০টি মোবাইল ফোন।

বিজ্ঞাপন

প্রত্যেকটি মোবাইল ফোনই আগে করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) কিংবা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়। এরপর আধুনিক প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা দক্ষতার মাধ্যমে ফোনগুলো শনাক্ত করে উদ্ধার করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজানের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মোবাইলগুলো প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এ সময় উপ-পুলিশ কমিশনার নিজে উপস্থিত থেকে মালিকদের হাতে মোবাইল তুলে দেন। এছাড়াও তেজগাঁও বিভাগের বিভিন্ন স্তরের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল ফিরে পেয়ে অনেকেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ জানান, তারা ভাবতেই পারেননি চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া ফোন ফিরে পাবেন। এই উদ্যোগকে অনেকেই পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ফেরানোর ইতিবাচক উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

ডিএমপির এই ধরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিকরা। তাদের মতে, পুলিশের আন্তরিকতা ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার আরও বাড়লে এই ধরনের অপরাধ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ইবনে মিজান বলেন, “জনগণের আস্থা ও নিরাপত্তার জায়গা থেকে আমরা দায়বদ্ধ। হারানো বা চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সেই আস্থা আরও সুদৃঢ় করতে চাই।”

এই সেবামূলক উদ্যোগকে নিয়মিত চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তেজগাঁও বিভাগ।