ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
এআই চ্যাটবট নিয়ে গুরুতর তথ্য ফাঁস স্বীকার করল মেটা নবীগঞ্জে ৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদককারবারি আটক সংগ্রাম-শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় ৮১ বছরে খালেদা জিয়া রাশিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় ড্রোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলছে লিথুয়ানিয়া এআই–ভিত্তিক হার্ডওয়্যারে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে অ্যাপল জেরুজালেমকে চিরতরে ছিনিয়ে নিতে ই-ওয়ান বসতি প্রকল্প পুনরুজ্জীবনের ঘোষণা ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলল ইউরোপ সিরিয়ার পুনর্গঠনে ইদলিব হবে কেন্দ্রবিন্দু: প্রেসিডেন্ট শারআ নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন

শুল্ক যুদ্ধের উত্তাপ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শি জিনপিংয়ের কৌশলী বাণিজ্য সফর

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটকে আরও দৃঢ় করতে তিন দেশ সফরে বের হয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া এই সফর চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

এই পাঁচ দিনের সফরে শি জিনপিং প্রথমে ভিয়েতনামে অবস্থান করবেন ১৪ ও ১৫ এপ্রিল, এরপর মালয়েশিয়ায় ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল এবং শেষ দিনগুলোতে থাকবেন কম্বোডিয়ায় ১৭ ও ১৮ এপ্রিল।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার মাঝেও চীন তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে তৎপর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিনটি দেশ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও কৌশলগত অংশীদার। এই সফরের মাধ্যমে চীন দক্ষিণে বন্ধুত্বপূর্ণ জোট গড়ে তুলে ওয়াশিংটনের চাপ মোকাবিলা করতে চায়।

বিশ্ব রাজনীতির পালাবদলের এই সময়ে চীন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর প্রভাব বাড়াতে চাইছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন ইতোমধ্যে একটি গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। শি জিনপিংয়ের এই সফরে সেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে চীনের পক্ষে বিকল্প বাজার তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এ ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল। বিশেষত, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সরাসরি বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি বিনিময়ের সম্ভাবনা চীনকে আকৃষ্ট করছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব রাজনীতির চলমান অস্থিরতায় চীনের এই তৎপরতা দক্ষিণে একটি শক্ত ঘাঁটি তৈরি করতে সাহায্য করবে।

এই সফর থেকে ভবিষ্যতে কী ফলাফল পাওয়া যাবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে শি জিনপিংয়ের এই পদক্ষেপকে চীনের ‘দক্ষিণ কূটনীতি’র নতুন মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

শুল্ক যুদ্ধের উত্তাপ: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শি জিনপিংয়ের কৌশলী বাণিজ্য সফর

আপডেট সময় ০৬:২৩:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটকে আরও দৃঢ় করতে তিন দেশ সফরে বের হয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১৪ এপ্রিল শুরু হওয়া এই সফর চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

এই পাঁচ দিনের সফরে শি জিনপিং প্রথমে ভিয়েতনামে অবস্থান করবেন ১৪ ও ১৫ এপ্রিল, এরপর মালয়েশিয়ায় ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল এবং শেষ দিনগুলোতে থাকবেন কম্বোডিয়ায় ১৭ ও ১৮ এপ্রিল।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনার মাঝেও চীন তার প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে তৎপর। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই তিনটি দেশ ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়া চীনের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও কৌশলগত অংশীদার। এই সফরের মাধ্যমে চীন দক্ষিণে বন্ধুত্বপূর্ণ জোট গড়ে তুলে ওয়াশিংটনের চাপ মোকাবিলা করতে চায়।

বিশ্ব রাজনীতির পালাবদলের এই সময়ে চীন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-এর প্রভাব বাড়াতে চাইছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন ইতোমধ্যে একটি গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে। শি জিনপিংয়ের এই সফরে সেই অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে। ফলে চীনের পক্ষে বিকল্প বাজার তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এ ক্ষেত্রে একটি সম্ভাবনাময় অঞ্চল। বিশেষত, এই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, সরাসরি বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তি বিনিময়ের সম্ভাবনা চীনকে আকৃষ্ট করছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর শুধু অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব রাজনীতির চলমান অস্থিরতায় চীনের এই তৎপরতা দক্ষিণে একটি শক্ত ঘাঁটি তৈরি করতে সাহায্য করবে।

এই সফর থেকে ভবিষ্যতে কী ফলাফল পাওয়া যাবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে শি জিনপিংয়ের এই পদক্ষেপকে চীনের ‘দক্ষিণ কূটনীতি’র নতুন মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেকেই।