ঢাকা ০৭:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শাহজালালে ২ যাত্রীর কাছ থেকে ৩১ মোবাইল জব্দ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠানই আগ্রহ দেখায়নি খেলা সম্প্রচার করতে। যে কারণে সিরিজটি বিটিভিতে দেখানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৫.৮ মাত্রার ভূমিকম্প চার বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে থানায় দেখা গুলশানে বন্ধ ব্যাটারি রিকশা, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচন জনগণের কাছে অগ্রহণযোগ্য: জামায়াত আমীর সিরিয়ায় সেনা হ্রাস করছে যুক্তরাষ্ট্র, আইএস দমনে কৌশলগত পরিবর্তন বাংলাদেশ–তুরস্ক ঐতিহাসিক বৈঠক: বাংলাদেশকে ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখতে চায় তুরস্ক লবণাক্ত জমিতে বিনা চাষে সূর্যমুখীতে সফলতা, কৃষকদের মুখে হাসি বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের দুই দফা দাবি, ৫ মে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্ত্রীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫০৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা এবং তার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকে অর্থ পাচারের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় বিচার প্রক্রিয়া চলার পর মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লিমার একটি আদালত এই বহুল প্রত্যাশিত রায় ঘোষণা করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (১৬ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়, হুমালা ২০০৬ ও ২০১১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্রাজিলের একটি নির্মাণ কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে তহবিল গ্রহণ করেছিলেন। এই অর্থ তিনি নিজের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করেন। হুমালার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াও এই তহবিল পাচার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, হেরেদিয়া তার স্বামীর সঙ্গে মিলে ‘জাতীয়তাবাদী দল’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমালা আদালতে উপস্থিত থাকলেও, তার স্ত্রী ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। তবে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, রায় ঘোষণার আগে হেরেদিয়া ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয় পান এবং বর্তমানে তিনি তার ছেলেসহ সেখানেই অবস্থান করছেন।

প্রসিকিউটররা হুমালার জন্য ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার জন্য ২৬ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিল। তবে আদালত দুজনকেই ১৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করে।

সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ওলান্টা হুমালা ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নেন এবং তৎকালীন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলেন। তখনও তার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিল।

এই রায় পেরুতে রাজনীতিতে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশটির নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম এই রায়কে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও স্ত্রীকে ১৫ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০১:৪৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

 

পেরুর সাবেক প্রেসিডেন্ট ওলান্টা হুমালা এবং তার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াকে অর্থ পাচারের দায়ে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। দীর্ঘ তিন বছরের বেশি সময় বিচার প্রক্রিয়া চলার পর মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) লিমার একটি আদালত এই বহুল প্রত্যাশিত রায় ঘোষণা করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বুধবার (১৬ এপ্রিল) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়, হুমালা ২০০৬ ও ২০১১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্রাজিলের একটি নির্মাণ কোম্পানি থেকে অবৈধভাবে তহবিল গ্রহণ করেছিলেন। এই অর্থ তিনি নিজের নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করেন। হুমালার স্ত্রী নাদিন হেরেদিয়াও এই তহবিল পাচার প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। উল্লেখ্য, হেরেদিয়া তার স্বামীর সঙ্গে মিলে ‘জাতীয়তাবাদী দল’ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

রায় ঘোষণার সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট হুমালা আদালতে উপস্থিত থাকলেও, তার স্ত্রী ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন। তবে আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।

পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা যায়, রায় ঘোষণার আগে হেরেদিয়া ব্রাজিলে রাজনৈতিক আশ্রয় পান এবং বর্তমানে তিনি তার ছেলেসহ সেখানেই অবস্থান করছেন।

প্রসিকিউটররা হুমালার জন্য ২০ বছর এবং হেরেদিয়ার জন্য ২৬ বছর ছয় মাসের কারাদণ্ডের আবেদন করেছিল। তবে আদালত দুজনকেই ১৫ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করে।

সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ওলান্টা হুমালা ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পেরুর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নেন এবং তৎকালীন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় রাজনৈতিক জোট গড়ে তোলেন। তখনও তার বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছিল।

এই রায় পেরুতে রাজনীতিতে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দেশটির নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম এই রায়কে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছে।