ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

চীনা ইলেকট্রনিকস পণ্যে ছাড় নয়, থাকবে শুল্ক বিভাগের আওতায়: ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 34

ছবি সংগৃহীত

 

চীনে উৎপাদিত স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য আর শুল্ক ছাড়ের আওতায় থাকছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পণ্যকে এখন থেকে একটি নতুন ‘শুল্ক বিভাগে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তবে শুল্ক পুরোপুরি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।

গত শুক্রবার একটি সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছিল, কিছু নির্দিষ্ট ইলেকট্রনিকস পণ্যে ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক ছাড় দেওয়া হতে পারে। এই ঘোষণার পরপরই ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে উত্থান লক্ষ্য করা যায়। তবে রোববার মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এখন এসব পণ্য ‘সেমিকন্ডাক্টর শুল্ক’ এর আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প বলেন, সোমবার তিনি বিস্তারিতভাবে নতুন শুল্কনীতির ঘোষণা দেবেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হচ্ছে এমন ধারণা পুরোপুরি ভুল। তার ভাষায়, “এসব পণ্য কোনো শুল্ক ছাড় পাচ্ছে না, বরং নতুন একটি বিভাগের আওতায় আসছে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক মন্তব্য করেছেন, “আমাদের ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিকস পণ্য নিজেদের দেশে তৈরি করতে হবে।” তিনি আরও জানান, এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থাগুলো আগের ঘোষিত বৈশ্বিক শুল্কের পাশাপাশি কার্যকর হবে, যেগুলো সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল।

শনিবার এক কাস্টমস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, চীন থেকে আমদানি হওয়া স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও কিছু ইলেকট্রনিকস পণ্য ১২৫% শুল্কের বাইরে থাকবে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, ওই ঘোষণা ভুল এবং কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, “আমরা এখন পুরো সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিকস সরবরাহ চেইনের ওপর জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় শুল্ক তদন্ত শুরু করছি।”

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তিকে আরও লাভজনক করতে শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। তাদের দাবি, এতে করে বৈশ্বিক বাণিজ্যের বৈষম্য দূর হবে এবং দেশে উৎপাদন ও চাকরির হার বাড়বে।

তবে এখন পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে।

চীন এরই মধ্যে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যেন শুল্কনীতি বাতিল করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে।

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনা ইলেকট্রনিকস পণ্যে ছাড় নয়, থাকবে শুল্ক বিভাগের আওতায়: ট্রাম্প

আপডেট সময় ১০:৫১:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

চীনে উৎপাদিত স্মার্টফোন ও অন্যান্য ইলেকট্রনিকস পণ্য আর শুল্ক ছাড়ের আওতায় থাকছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এসব পণ্যকে এখন থেকে একটি নতুন ‘শুল্ক বিভাগে’ অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তবে শুল্ক পুরোপুরি থেকে মুক্তি পাচ্ছে না।

গত শুক্রবার একটি সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছিল, কিছু নির্দিষ্ট ইলেকট্রনিকস পণ্যে ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক ছাড় দেওয়া হতে পারে। এই ঘোষণার পরপরই ইউরোপীয় শেয়ারবাজারে উত্থান লক্ষ্য করা যায়। তবে রোববার মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এখন এসব পণ্য ‘সেমিকন্ডাক্টর শুল্ক’ এর আওতায় পড়বে।

ট্রাম্প বলেন, সোমবার তিনি বিস্তারিতভাবে নতুন শুল্কনীতির ঘোষণা দেবেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানান, চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ছাড় দেওয়া হচ্ছে এমন ধারণা পুরোপুরি ভুল। তার ভাষায়, “এসব পণ্য কোনো শুল্ক ছাড় পাচ্ছে না, বরং নতুন একটি বিভাগের আওতায় আসছে।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক মন্তব্য করেছেন, “আমাদের ওষুধ, সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিকস পণ্য নিজেদের দেশে তৈরি করতে হবে।” তিনি আরও জানান, এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থাগুলো আগের ঘোষিত বৈশ্বিক শুল্কের পাশাপাশি কার্যকর হবে, যেগুলো সাময়িকভাবে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছিল।

শনিবার এক কাস্টমস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, চীন থেকে আমদানি হওয়া স্মার্টফোন, কম্পিউটার ও কিছু ইলেকট্রনিকস পণ্য ১২৫% শুল্কের বাইরে থাকবে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, ওই ঘোষণা ভুল এবং কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।

তিনি আরও জানান, “আমরা এখন পুরো সেমিকন্ডাক্টর ও ইলেকট্রনিকস সরবরাহ চেইনের ওপর জাতীয় নিরাপত্তা বিবেচনায় শুল্ক তদন্ত শুরু করছি।”

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অন্যান্য দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য চুক্তিকে আরও লাভজনক করতে শুল্ককে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছেন ট্রাম্প। তাদের দাবি, এতে করে বৈশ্বিক বাণিজ্যের বৈষম্য দূর হবে এবং দেশে উৎপাদন ও চাকরির হার বাড়বে।

তবে এখন পর্যন্ত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের কোনো পরিকল্পনা নেই। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা আরও তীব্র হতে পারে।

চীন এরই মধ্যে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যেন শুল্কনীতি বাতিল করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে।