ঢাকা ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

নুসরাতের স্বপ্ন: একদিন হবো সাধারণ বাঙালি মা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

চলচ্চিত্রের আলো থেকে ঘরের উনুন পর্যন্ত – নায়িকার এক স্নিগ্ধ যাত্রা
এক সময়ের পর্দা কাঁপানো তারকা, যিনি ফ্যাশন আর স্টারডমের ঝলকে মুগ্ধ করতেন হাজারো দর্শককে, আজ তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে এক অন্যরকম স্বপ্নের কথা। নুসরাত জাহান, যার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গ্ল্যামার, আত্মবিশ্বাস আর সাফল্যের গল্প — এখন তিনি বলছেন, “আমিও একদিন সাধারণ বাঙালি মায়েদের মতো হয়ে যাব।”
এই একবাক্যে ধরা পড়েছে একজন নারীর ভেতরের সেই চিরন্তন রূপ, যেখানে ক্যামেরার ঝলকানি মুছে গিয়ে জায়গা করে নেয় সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানোর স্বপ্ন, অথবা ভাত-ডাল রান্না করে সন্তানকে খাওয়ানোর নিঃশব্দ ভালোবাসা।

নুসরাতের কথায় বোঝা যায়, মা হওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে ভেতর থেকে বদলে দিয়েছে। সেলিব্রিটির জীবন, বিদেশ ভ্রমণ, র‍্যাম্প ও রেড কার্পেট — সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে এখন তিনি নিজেকে খুঁজে পান একটি মমতাময়ী পরিচয়ের মধ্যে — একজন মা হিসেবে।
“জন্মের পর যখন প্রথম ওর চোখে তাকালাম, বুঝলাম আমি বদলে গেছি। ওর হাসি, ওর কান্না, সবকিছুই আমাকে নতুন করে গড়ছে,”– এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।

এই ‘সাধারণ’ শব্দটা আপাতদৃষ্টিতে ছোট মনে হলেও, এর ভেতরে রয়েছে বিশাল এক ভালোবাসার জগৎ। নুসরাত বলেন,
“সেই মায়েরা, যারা সকালে উঠেই সংসার গোছান, ছেলেমেয়ের স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেন, রান্নাঘরের উনুনে ভাত বসান, আর নিজের প্রয়োজনের কথা সব শেষে ভাবেন — ওরাই আমার অনুপ্রেরণা।”
এই স্বীকারোক্তি যেন শুধু একজন নায়িকার নয়, বরং হাজারো কর্মজীবী, ব্যস্ত নারী যারা মা হওয়ার পর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন — তাদেরই কণ্ঠস্বর।

নুসরাত বুঝতে পেরেছেন, খ্যাতির চেয়ে বড় কিছু আছে জীবনে — সন্তানের চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি। সেজন্যই হয়তো তারকা পরিচয়কে পাশে রেখে তিনি গড়ে তুলছেন এক পরিপূর্ণ মাতৃত্বজীবন।
তিনি বলেন, “আমি চাই, আমার সন্তান জানুক— তার মা কেবল একটি নামি মুখ নয়, একজন বাঙালি মা, যার হাতের রান্নায় আছে মায়া, whose hug is home.”

নুসরাতের এই ভাবনা আজকের প্রজন্মের নারীদের জন্য একটি বার্তা — মা হওয়ার অর্থ নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দেওয়া নয়, বরং স্বপ্নকে নতুন রূপে গড়ে তোলা।
সাধারণ বাঙালি মায়েদের মতো হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন কোনো পিছিয়ে পড়া ভাবনা নয়, বরং সেটি একটি ‘ভালোবেসে বাঁচার’ দর্শন, যা গ্ল্যামারের বাইরেও একজন নারীর পূর্ণতা এনে দেয়।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

নুসরাতের স্বপ্ন: একদিন হবো সাধারণ বাঙালি মা

আপডেট সময় ১১:৪২:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫

 

চলচ্চিত্রের আলো থেকে ঘরের উনুন পর্যন্ত – নায়িকার এক স্নিগ্ধ যাত্রা
এক সময়ের পর্দা কাঁপানো তারকা, যিনি ফ্যাশন আর স্টারডমের ঝলকে মুগ্ধ করতেন হাজারো দর্শককে, আজ তাঁর মুখে শোনা যাচ্ছে এক অন্যরকম স্বপ্নের কথা। নুসরাত জাহান, যার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গ্ল্যামার, আত্মবিশ্বাস আর সাফল্যের গল্প — এখন তিনি বলছেন, “আমিও একদিন সাধারণ বাঙালি মায়েদের মতো হয়ে যাব।”
এই একবাক্যে ধরা পড়েছে একজন নারীর ভেতরের সেই চিরন্তন রূপ, যেখানে ক্যামেরার ঝলকানি মুছে গিয়ে জায়গা করে নেয় সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুম পাড়ানোর স্বপ্ন, অথবা ভাত-ডাল রান্না করে সন্তানকে খাওয়ানোর নিঃশব্দ ভালোবাসা।

নুসরাতের কথায় বোঝা যায়, মা হওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁকে ভেতর থেকে বদলে দিয়েছে। সেলিব্রিটির জীবন, বিদেশ ভ্রমণ, র‍্যাম্প ও রেড কার্পেট — সব কিছুর ঊর্ধ্বে গিয়ে এখন তিনি নিজেকে খুঁজে পান একটি মমতাময়ী পরিচয়ের মধ্যে — একজন মা হিসেবে।
“জন্মের পর যখন প্রথম ওর চোখে তাকালাম, বুঝলাম আমি বদলে গেছি। ওর হাসি, ওর কান্না, সবকিছুই আমাকে নতুন করে গড়ছে,”– এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।

এই ‘সাধারণ’ শব্দটা আপাতদৃষ্টিতে ছোট মনে হলেও, এর ভেতরে রয়েছে বিশাল এক ভালোবাসার জগৎ। নুসরাত বলেন,
“সেই মায়েরা, যারা সকালে উঠেই সংসার গোছান, ছেলেমেয়ের স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেন, রান্নাঘরের উনুনে ভাত বসান, আর নিজের প্রয়োজনের কথা সব শেষে ভাবেন — ওরাই আমার অনুপ্রেরণা।”
এই স্বীকারোক্তি যেন শুধু একজন নায়িকার নয়, বরং হাজারো কর্মজীবী, ব্যস্ত নারী যারা মা হওয়ার পর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেন — তাদেরই কণ্ঠস্বর।

নুসরাত বুঝতে পেরেছেন, খ্যাতির চেয়ে বড় কিছু আছে জীবনে — সন্তানের চোখে নিজের প্রতিচ্ছবি। সেজন্যই হয়তো তারকা পরিচয়কে পাশে রেখে তিনি গড়ে তুলছেন এক পরিপূর্ণ মাতৃত্বজীবন।
তিনি বলেন, “আমি চাই, আমার সন্তান জানুক— তার মা কেবল একটি নামি মুখ নয়, একজন বাঙালি মা, যার হাতের রান্নায় আছে মায়া, whose hug is home.”

নুসরাতের এই ভাবনা আজকের প্রজন্মের নারীদের জন্য একটি বার্তা — মা হওয়ার অর্থ নিজের স্বপ্নকে বিসর্জন দেওয়া নয়, বরং স্বপ্নকে নতুন রূপে গড়ে তোলা।
সাধারণ বাঙালি মায়েদের মতো হয়ে যাওয়ার স্বপ্ন কোনো পিছিয়ে পড়া ভাবনা নয়, বরং সেটি একটি ‘ভালোবেসে বাঁচার’ দর্শন, যা গ্ল্যামারের বাইরেও একজন নারীর পূর্ণতা এনে দেয়।