ঢাকা ০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যুক্তরাজ্যের রুয়ান্ডা মডেল কপি করছে ইইউ — সমালোচনা থেকে সমর্থনে তিন বছরের পথচলা মার্কিন শুল্ক নীতিতে BRICS জোটে নতুন ঐক্যের ঢেউ। চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে প্রায় ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ পাচারকারী আটক গাজা সিটির দিকে ইসরায়েলের পূর্ণ দখল অভিযান, ৮ লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে। “ফ্রান্সে দাবানলের তাণ্ডব: পুড়ে গেছে ৪২ হাজার একর এলাকা” হুথিদের নতুন নৌ ক্রুজ মিসাইল ‘সাইয়াদ’, লোহিত সাগরে নতুন গেম চেঞ্জার গাজায় ত্রাণের মাধ্যমে জীবাণু যুদ্ধ চালাচ্ছে ইসরায়েল চীনের সি৯৪৯ জেটলাইনার কি সুপারসনিক বিমান ভ্রমণের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনবে? ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষে ‘মন ও মানসিকতার যুদ্ধেও জয়ী’ হওয়ার দাবি ইরানের বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে প্রকাশ্যেই সাংবাদিককে গলা কেটে হত্যা

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে ভারতের সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 45

ছবি সংগৃহীত

 

ভারতের হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমেই এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আগেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা ছিলেন, এমনকি ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংকট মোকাবিলার পথ খোঁজা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে। যাতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়ি, সেই লক্ষ্যেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি। শুধু ব্যবসায়িক সক্ষমতাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত করা হচ্ছে, যাতে পণ্য পরিবহনে কোনো বাধা না আসে।”

ভারত ২০২০ সালের ২৯ জুনের আদেশের মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালু করেছিল, যার আওতায় বাংলাদেশের পণ্য ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) সেই সুবিধা বাতিল করেছে।

এ বিষয়ে সরকারের করণীয় কী হতে পারে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিষয়টি শুধু রাজনৈতিক নয়, অবকাঠামো ও খরচ বৃদ্ধির সঙ্গেও জড়িত। এসব নিয়েই কাজ চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই এর সমাধান বের হবে।”

তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে ভারতের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। “আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এখনই প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে না,” বলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও পাল্টা ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের দাবির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আমার কাজ হচ্ছে দেশের সক্ষমতা বাড়ানো।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর বাড়তি শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে, যা আপাতত একটি স্বস্তির বিষয়। “এই সময়ের মধ্যেই আমরা পরিকল্পনা সাজাতে পারব,” বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে ভারতের সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়বে না : বাণিজ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:১১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

 

ভারতের হঠাৎ করে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি জানিয়েছেন, দেশের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা ও প্রস্তুতির মাধ্যমেই এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “আমরা আগেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা ছিলেন, এমনকি ক্রেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংকট মোকাবিলার পথ খোঁজা হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমাদের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়াতে কাজ চলছে। যাতে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে না পড়ি, সেই লক্ষ্যেই আমরা অগ্রসর হচ্ছি। শুধু ব্যবসায়িক সক্ষমতাই নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থাও উন্নত করা হচ্ছে, যাতে পণ্য পরিবহনে কোনো বাধা না আসে।”

ভারত ২০২০ সালের ২৯ জুনের আদেশের মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা চালু করেছিল, যার আওতায় বাংলাদেশের পণ্য ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে যাওয়ার সুযোগ পেত। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (CBIC) সেই সুবিধা বাতিল করেছে।

এ বিষয়ে সরকারের করণীয় কী হতে পারে জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “বিষয়টি শুধু রাজনৈতিক নয়, অবকাঠামো ও খরচ বৃদ্ধির সঙ্গেও জড়িত। এসব নিয়েই কাজ চলছে। আশা করছি, খুব দ্রুতই এর সমাধান বের হবে।”

তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে ভারতের কাছে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা নেই। “আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। এখনই প্রতিক্রিয়া হিসেবে চিঠি দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা যাচ্ছে না,” বলেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও পাল্টা ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের দাবির প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা স্পষ্ট করে বলেন, “এটি আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আমার কাজ হচ্ছে দেশের সক্ষমতা বাড়ানো।”

বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর বাড়তি শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে, যা আপাতত একটি স্বস্তির বিষয়। “এই সময়ের মধ্যেই আমরা পরিকল্পনা সাজাতে পারব,” বলে আশাবাদ প্রকাশ করেন তিনি।