ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শিল্প রোবট ব্যবহারে বিশ্বে শীর্ষে চীন, উত্থানে ভারত ও তুরস্ক ১৪ ঘণ্টা পর মিলল নিখোঁজ শিশুর নিথর দেহ নাইজেরিয়ার বেনু রাজ্যে সশস্ত্র হামলায় ১৭ জন নিহত দেশের ৯ অঞ্চলে নদীবন্দরে সতর্কসংকেত, কালবৈশাখীর সম্ভাবনা ইউরেনিয়াম মজুদের বিষয়ে কোনো ছাড় নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ইরানের সতর্কবার্তা শেখ হাসিনাসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশের আবেদন ইসরায়েলের বেন গুরিয়নের বিমানবন্দরের কাছে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের আজ সারাদেশে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এফ-১ ভিসা বাতিল, অর্ধেক ভারতীয় নাগরিক কঙ্গোর কঙ্গো নদীতে ভয়াবহ নৌকাবিপর্যয়ে ১৪৩ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ বহু

শপআপের নতুন দিগন্ত: মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তার, পেল হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৫১০ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ এবার ব্যবসার নতুন দিগন্তে পা রেখেছে। সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘সারি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছে একটি নতুন কোম্পানি, যার নাম ‘সিল্ক গ্রুপ’। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু শপআপ নয়, বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতও পৌঁছে গেল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মূলধারায়।

ব্লুমবার্গসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই একীভূতকরণের ফলে শপআপ পেয়েছে প্রায় ১১ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ। বিনিয়োগ এসেছে সৌদি সরকারের পিআইএফের সানাবিল ইনভেস্টমেন্ট, পেপ্যাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলের ভেঞ্চার ফান্ড, ই-বে’র প্রতিষ্ঠাতা পিয়ের ওমিডিয়ার, কুয়েতের ওয়াফ্রা এবং কাতার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রভাবশালী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে।

যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে এই চুক্তি ও বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হতে পারে।

প্রতিষ্ঠান দুটি একীভূত হলেও নিজেদের নামে ও ব্যবস্থাপনায় আলাদা ভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করবে শপআপ ও সারি। নতুন ‘সিল্ক গ্রুপ’ হবে মূল নিয়ন্ত্রক কোম্পানি, যার অধীনে তারা সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা শপআপ মূলত একটি হোলসেল মার্কেটপ্লেস। তারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো গুদামজাত করে পরিবেশক ও ক্ষুদ্র মুদি দোকানে সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে শপআপের রয়েছে ২০০টিরও বেশি পরিবেশক কেন্দ্র বা হাব।

তাদের সেবা শুধু পণ্য সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ চেইনে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সাপোর্টও দিয়ে থাকে।

এই নতুন চুক্তি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য বড় ধরনের স্বীকৃতি ও সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিল। শুধু বিনিয়োগই নয়, এটি প্রযুক্তি, দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ এনে দিচ্ছে দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য। শপআপের এই অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শপআপের নতুন দিগন্ত: মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তার, পেল হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ

আপডেট সময় ০২:১৩:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশি স্টার্টআপ শপআপ এবার ব্যবসার নতুন দিগন্তে পা রেখেছে। সৌদি আরবভিত্তিক প্রযুক্তিনির্ভর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘সারি’র সঙ্গে একীভূত হয়ে গঠিত হয়েছে একটি নতুন কোম্পানি, যার নাম ‘সিল্ক গ্রুপ’। এ উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু শপআপ নয়, বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতও পৌঁছে গেল আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের মূলধারায়।

ব্লুমবার্গসহ একাধিক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই একীভূতকরণের ফলে শপআপ পেয়েছে প্রায় ১১ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা) বিনিয়োগ। বিনিয়োগ এসেছে সৌদি সরকারের পিআইএফের সানাবিল ইনভেস্টমেন্ট, পেপ্যাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা পিটার থিয়েলের ভেঞ্চার ফান্ড, ই-বে’র প্রতিষ্ঠাতা পিয়ের ওমিডিয়ার, কুয়েতের ওয়াফ্রা এবং কাতার ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন প্রভাবশালী বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে।

যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, তবে আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলনে এই চুক্তি ও বিনিয়োগ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হতে পারে।

প্রতিষ্ঠান দুটি একীভূত হলেও নিজেদের নামে ও ব্যবস্থাপনায় আলাদা ভাবেই ব্যবসা পরিচালনা করবে শপআপ ও সারি। নতুন ‘সিল্ক গ্রুপ’ হবে মূল নিয়ন্ত্রক কোম্পানি, যার অধীনে তারা সৌদি আরব ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে।

২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা শপআপ মূলত একটি হোলসেল মার্কেটপ্লেস। তারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য সংগ্রহ করে সেগুলো গুদামজাত করে পরিবেশক ও ক্ষুদ্র মুদি দোকানে সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে শপআপের রয়েছে ২০০টিরও বেশি পরিবেশক কেন্দ্র বা হাব।

তাদের সেবা শুধু পণ্য সরবরাহেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ চেইনে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আর্থিক সাপোর্টও দিয়ে থাকে।

এই নতুন চুক্তি বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমের জন্য বড় ধরনের স্বীকৃতি ও সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিল। শুধু বিনিয়োগই নয়, এটি প্রযুক্তি, দক্ষতা ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ এনে দিচ্ছে দেশের উদ্যোক্তাদের জন্য। শপআপের এই অগ্রযাত্রা নিঃসন্দেহে তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অনুপ্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠবে।