ঢাকা ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নতুন নির্দেশনা প্রকাশ গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের নেমপ্লেট ও আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক আন্দোলন করলেই অবসরে যাবেন সরকারী চাকুরীজীবীরা ডিএনএ টেস্টে সনাক্ত হলো ৫ জনের পরিচয় সাজেক থেকে ফিরছেন পর্যটকরা, যান চলাচল স্বাভাবিক সেনবাগে খালের উপর জবরদখল করে ব্রীজ ও  নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পুশইন না পুশব্যাক ? বিব্রত বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা রাশিয়ায় নিখোঁজ উড়োজাহাজ ৪৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত মিডিয়াতে প্রকাশের পর পোষাক নির্দেশনা প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান তার স্ত্রী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা

যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের চাষ, চারা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৫ কোটি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 86

যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের চাষ, চারা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৫ কোটি

ছবি: সংগৃহিত

 

চৌগাছায় পেঁয়াজের চারা বিক্রিতে ৫ কোটি টাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন কৃষকরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়ায় এবার উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক হারে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। চারার উৎপাদনে প্রাথমিক খরচ ছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা, আর জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার সময় আরও ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। সবকিছু সঠিকভাবে হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫০-৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা হতে পারে। এতে করে কৃষকরা ৬০-৭০ হাজার টাকা মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২৬০ জনের বেশি চাষিকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিজন চাষিকে ১ কেজি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 চৌগাছা উপজেলায় এ মৌসুমে ৮২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতিমধ্যে ১২২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ হয়েছে। চাষিদের মতে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চৌগাছার উর্বর মাটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। ফলে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন তারা।  চৌগাছার পেঁয়াজ চাষীদের এ উদ্যোগ কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা রাখছেন চাষিরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের চাষ, চারা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৫ কোটি

আপডেট সময় ০৪:৩৫:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫

ছবি: সংগৃহিত

 

চৌগাছায় পেঁয়াজের চারা বিক্রিতে ৫ কোটি টাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন কৃষকরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়ায় এবার উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক হারে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। চারার উৎপাদনে প্রাথমিক খরচ ছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা, আর জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার সময় আরও ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। সবকিছু সঠিকভাবে হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫০-৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা হতে পারে। এতে করে কৃষকরা ৬০-৭০ হাজার টাকা মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২৬০ জনের বেশি চাষিকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিজন চাষিকে ১ কেজি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

 চৌগাছা উপজেলায় এ মৌসুমে ৮২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতিমধ্যে ১২২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ হয়েছে। চাষিদের মতে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চৌগাছার উর্বর মাটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। ফলে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন তারা।  চৌগাছার পেঁয়াজ চাষীদের এ উদ্যোগ কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা রাখছেন চাষিরা।