যশোরের চৌগাছায় বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের চাষ, চারা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ৫ কোটি
ছবি: সংগৃহিত
চৌগাছায় পেঁয়াজের চারা বিক্রিতে ৫ কোটি টাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন কৃষকরা। মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে লাভবান হওয়ায় এবার উপজেলার কৃষকরা ব্যাপক হারে পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। চারার উৎপাদনে প্রাথমিক খরচ ছিল প্রায় ২০ হাজার টাকা, আর জমি থেকে পেঁয়াজ তোলার সময় আরও ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। সবকিছু সঠিকভাবে হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫০-৬০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদনের আশা করছেন, যার বাজারমূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা হতে পারে। এতে করে কৃষকরা ৬০-৭০ হাজার টাকা মুনাফা অর্জনের সম্ভাবনা দেখছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে পেঁয়াজ উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২৬০ জনের বেশি চাষিকে প্রণোদনার আওতায় আনা হয়েছে। প্রতিজন চাষিকে ১ কেজি নাসিক এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার এবং নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
চৌগাছা উপজেলায় এ মৌসুমে ৮২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ইতিমধ্যে ১২২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ হয়েছে। চাষিদের মতে, এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। চৌগাছার উর্বর মাটি ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় কৃষকরা বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন। ফলে এ বছর পেঁয়াজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন তারা। চৌগাছার পেঁয়াজ চাষীদের এ উদ্যোগ কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে, যা স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা রাখছেন চাষিরা।