ট্রাম্প-মাস্কের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিক্ষোভ, ‘হ্যান্ডস অফ’ আন্দোলনে উত্তাল ইউরোপ ও আমেরিকা

- আপডেট সময় ১১:২৪:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / 33
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এবার তার উপদেষ্টা হিসেবে আলোচনায় আসা ইলন মাস্ককেও পাশে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছেন। এসবের প্রতিবাদে শনিবার ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন শহরে একযোগে ট্রাম্প ও মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জার্মানির বার্লিন ও ফ্রাঙ্কফুর্ট, ফ্রান্সের প্যারিস এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডনে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসে ‘হ্যান্ডস অফ’ স্লোগান নিয়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি ও নিউইয়র্কেও ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন শুল্কনীতি ও নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে একতরফা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে, যা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কেন্দ্রীয় প্রশাসনে ব্যাপক হারে ছাঁটাই এবং কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের কারণে অসন্তোষ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
প্রতিবাদকারীদের দাবি, শুল্কনীতির আড়ালে আসলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রযুক্তি এবং জ্বালানির ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এর প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনেও পড়ছে। বিজ্ঞানী, শিক্ষক, শিল্পী থেকে শুরু করে গৃহিণী সব শ্রেণির মানুষই এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।
‘হ্যান্ডস অফ’ নামে পরিচিত এই আন্দোলনের অর্থ দাঁড়ায় “আমাদের জীবনকে নিজের মতো চলতে দাও।” প্রায় ১৫০টি সংগঠন এই বিক্ষোভে যুক্ত হয়।
বিক্ষোভের ঢেউ শুধু ইউরোপেই সীমাবদ্ধ ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য ছাড়াও কানাডা, মেক্সিকো, পর্তুগালসহ বিভিন্ন দেশেও একইসঙ্গে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিশেষত লন্ডনে মার্কিন দূতাবাসের সামনে প্রায় ২০০ জন মার্কিন নাগরিক ব্যানার হাতে প্রতিবাদে অংশ নেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি বিশ্ব বাণিজ্যে একতরফা হস্তক্ষেপ এবং বৈশ্বিক ভারসাম্যের জন্য হুমকি।
বিশ্লেষকদের মতে, এসব বিক্ষোভ কেবল একটি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নয় এটি আধুনিক সময়ের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষের একটি প্রতীকী আন্দোলন।