ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মগবাজারের হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু ফরিদপুরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের হোতা কুটি মিয়া অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার এইচএসসি পরীক্ষায় দ্বিতীয় দিনে অনুপস্থিত ২২ হাজার শিক্ষার্থী, বহিষ্কার ৪১ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক হবে সম্মান এবং পারস্পরিক স্বার্থে: আমীর খসরু ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন দাবি বিএনপির, আপসের প্রশ্ন নেই: দুদু ইরানে আইএইএ মহাপরিচালকের মৃত্যুদণ্ডের দাবির কড়া প্রতিক্রিয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশে নতুন করে ১৩ জনের করোনা শনাক্ত, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু নেই বিসিবির সভা আগামীকাল, এজেন্ডায় থাকছে কী? আজ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ নিহত ১৪ জন শীর্ষক: রেমিট্যান্স প্রবাহে ঊর্ধ্বগতি: জুনের ২৮ দিনেই এসেছে ২৫৩ কোটি ডলার

ষড়যন্ত্রের ছায়া কাটিয়ে সফল হল বর্ষবরণ: ঢাবি ভিসি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৯:১৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 52

ছবি সংগৃহীত

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, নানা বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মাঝেও বর্ষবরণ শোভাযাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার অপচেষ্টা হয়েছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে উৎসবটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।”

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাপী শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মাত্র ৮ দিনের প্রস্তুতিতে এত বড় আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। সাংবাদিক, ছাত্র-শিক্ষক, প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় আমরা সফল হয়েছি।”

তিনি আরও জানান, এবারের আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী এবং বৈচিত্র্যে ভরপুর। “জাতিসংঘ আমাদের যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেখানে একটি মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। আমরা সেটিই করেছি। এবার ২৮টি নৃগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন সম্ভব হয়েছে।”

শোভাযাত্রার রুট ছিল চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলা প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়ার বহর। এরপর একে একে অংশ নেয় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষ, চারুকলার মূল ব্যানার, ও নানা প্রতীকী মোটিফ।

এবারের শোভাযাত্রায় ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ ছিল মূল মোটিফ। সঙ্গে ছিল পায়রা, বাঘ, মাছ, পানির বোতল, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি এবং ৩৬ জুলাইয়ের প্রতীক। প্রদর্শিত হয়েছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি শিল্পনির্ভর প্রতীক।

আয়োজনে অংশ নেন উপাচার্যের পাশাপাশি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সব মিলিয়ে ষড়যন্ত্রের ছায়া কাটিয়ে এবার ঢাবির বর্ষবরণ শোভাযাত্রা হয়ে উঠেছে সত্যিকারের বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি।

content rewrite

নিউজটি শেয়ার করুন

ষড়যন্ত্রের ছায়া কাটিয়ে সফল হল বর্ষবরণ: ঢাবি ভিসি

আপডেট সময় ০৯:১৩:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান জানিয়েছেন, নানা বাধা-বিপত্তি ও ষড়যন্ত্রের মাঝেও বর্ষবরণ শোভাযাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার অপচেষ্টা হয়েছে। তবে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে উৎসবটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে।”

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে শুরু হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ব্যাপী শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “মাত্র ৮ দিনের প্রস্তুতিতে এত বড় আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। সাংবাদিক, ছাত্র-শিক্ষক, প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় আমরা সফল হয়েছি।”

তিনি আরও জানান, এবারের আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী এবং বৈচিত্র্যে ভরপুর। “জাতিসংঘ আমাদের যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেখানে একটি মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা। আমরা সেটিই করেছি। এবার ২৮টি নৃগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজন সম্ভব হয়েছে।”

শোভাযাত্রার রুট ছিল চারুকলা অনুষদ থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বর ঘুরে আবার চারুকলা প্রাঙ্গণে ফিরে আসে। শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সুসজ্জিত ঘোড়ার বহর। এরপর একে একে অংশ নেয় বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর মানুষ, চারুকলার মূল ব্যানার, ও নানা প্রতীকী মোটিফ।

এবারের শোভাযাত্রায় ‘স্বৈরাচারের প্রতিকৃতি’ ছিল মূল মোটিফ। সঙ্গে ছিল পায়রা, বাঘ, মাছ, পানির বোতল, ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি এবং ৩৬ জুলাইয়ের প্রতীক। প্রদর্শিত হয়েছে ৭টি বড়, ৭টি মাঝারি ও ৭টি ছোট মোটিফসহ মোট ২১টি শিল্পনির্ভর প্রতীক।

আয়োজনে অংশ নেন উপাচার্যের পাশাপাশি সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

সব মিলিয়ে ষড়যন্ত্রের ছায়া কাটিয়ে এবার ঢাবির বর্ষবরণ শোভাযাত্রা হয়ে উঠেছে সত্যিকারের বাঙালিয়ানার প্রতিচ্ছবি।

content rewrite